সহেলি মিত্র, কলকাতা: ডিএ (DA) বা মহার্ঘ্য ভাতা ইস্যুতে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে বাংলার সরকারি কর্মীদের মধ্যে। এদিকে বারবার মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে উঠলেও মনের মতো রায় পাচ্ছেন না সরকারি অধিকারিকরা। মামলা ইস্যুতে বারবার ব্যর্থতার মুখ দেখতে হচ্ছে সকলকে। তবে এসবের মাঝেই বিরাট মন্তব্য করলেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের আইনজীবী ফিরদৌস। শামিম দাবি করেন, টাকা দেওয়ার না পেছনে রাজ্য সরকারের বিরাট এক স্ট্র্যাটেজি আছে। এদিকে আইনজীবীর এহেন মন্তব্যকে ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সর্বত্রই।
DA নিয়ে রাজ্য সরকারের কৌশল!
বর্তমান সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা সপ্তম বেতন পে কমিশনের আওতায় ৫৫ শতাংশ হারে ডিএ পাচ্ছেন। সেখানে অন্যদিকে বাংলার সরকারি কর্মীরা ষষ্ঠ বেতন পে কমিশনেই আটকে আছেন। সেইসঙ্গে ডিএ পাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গে কবে সপ্তম বেতন কমিশন কার্যকর করা হবে, সে বিষয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের তরফে কিছু জানানো হয়নি। যাইহোক, এখন সকলে ১৮ শতাংশ হারে ডিএ। ফলে কেন্দ্রের সঙ্গে এ রাজ্যের ডিএ ফারাক ৩৫ শতাংশ। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। কবে এই ফারাক মিটবে? উত্তর জানা নেই কারোর। অন্যদিকে ফিরদৌস শামিম বাংলার সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনেছেন।
বছরের পর বছর ডিএ না মেলায় সরকারি কর্মীদের বকেয়া রয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। হিসেব করলে দেখা যাবে, এক একজন সরকারি কর্মী কয়েক লক্ষ টাকা পান সরকারের কাছ থেকে। আর এই বিষয়টাই তুলে ধরেছেন আইনজীবী। আইনজীবী শামিম জানান, মহার্ঘ ভাতা রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আইনসংগত, নায্য এবং মৌলিক অধিকার। সেই অধিকার খর্ব করে এতদিন তাঁদের প্রাপ্য ডিএ দেয়নি রাজ্য সরকার। এক-একজন রাজ্য সরকারি কর্মচারীর কয়েক লাখ টাকা পাওনা আছে। রাজ্য নিজেরাই আদালতে জানিয়েছে যে বকেয়া ডিএ মেটাতে ৪০,০০০ কোটি টাকার মতো লাগবে।
বকেয়া ৪০,০০০ কোটি টাকা!
এত কোটি টাকা রাজ্যের কাঁধে বকেয়া হিসেবে রয়েছে। আর এটা যে যথেষ্ট বড় আর্থিক চাপ সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আইনজীবী জানিয়েছেন, ৪০,০০০ কোটি টাকার বঞ্চনার শিকার হয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। যদি মাসে-মাসে সেই টাকাটা দিয়ে দিত রাজ্য সরকার, তাহলে তো বকেয়ার অঙ্কটা এত হত না। ২০১১ সালে তো তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় এসেছে। তখন থেকে ডিএ দিয়ে দিলে একসঙ্গে এত টাকা দেওয়ার চাপ পড়ত না। এই বিষয়ে সরকারের কৌশল আছে বলে মত সরকারি আধিকারিকদের আইনজীবীর।
আরও পড়ুনঃ সোনার দরে ফের আগুন, পকেটে চাপ ফেলছে রুপোও! দেখুন আজকের রেট
তাঁর বক্তব্য, আসলে রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্য হল যে একসঙ্গে এত টাকা দিতে বলে যদি কোনওভাবে বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব করা যায়। সেজন্য ওরকম বিভিন্ন স্ট্র্যাটেজি নিচ্ছে। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হবে না। ইতিমধ্যে ডিএ মামলায় রাজ্য সরকার ছয়বার হেরে গিয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |