প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কিছুদিন আগেই ঘরোয়া অনুষ্ঠানের করে চার হাত এক হয়েছিল দিলীপ ঘোষ ও রিঙ্কু মজুমদারের। সেই সময় প্রথম মিডিয়া হাউসে উঠে আসে রিঙ্কুর প্রথম পক্ষের ছেলে সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের (Srinjoy Dasgupta) নাম। বিয়েতে উপস্থিত থাকতে না পারলেও ২৫-২৬ বছরের তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী সৃঞ্জয় মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে নিয়ে বরং বেশ খুশিই ছিলেন। কিন্তু বিয়ের ১ মাস কাটতে না কাটতেই ঘটে গেল এক বড় অঘটন। মঙ্গলবার নিউটাউনে সাপুরজি আবাসনে মিলল সৃঞ্জয়ের মৃতদেহ।
অস্বাভাবিক মৃত্যু সৃঞ্জয়ের!
পুলিশ সূত্রের খবর, গত সোমবার রাতে নিউটাউনের সাপুরজি আবাসনে বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করেছিলেন রিঙ্কু পুত্র সৃঞ্জয় দাশগুপ্ত। গভীর রাত হয়ে যাওয়ায় বন্ধুরা তাঁর আবাসনে থেকে যায়। তারপরই মঙ্গলবার সকালে সৃঞ্জয়কে অনেক ডাকাডাকির পর সাড়া না দেওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে সৃঞ্জয়কে বিধাননগর সেবা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তারপরেই এই খবর চাউর হতেই ভিড় বাড়তে শুরু করেছে বাড়িতে এবং হাসপাতালে। এটা আত্মহত্যা নাকি খুন তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। তবে অবশেষে প্রকাশ্যে এল ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট।
রিপোর্টে উঠে এল মৃত্যুর কারণ!
আরজি কর হাসপাতালের রিপোর্ট সূত্রের খবর, অ্যাকিউট হেমরেজিক প্যানক্রিয়াটাইটিস অর্থাৎ অগ্ন্যাশয়ের ভেতরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণজনিত কারণেই বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারের ছেলে সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের মৃত্যু হয়েছিল। এছাড়াও চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয় সৃঞ্জয়ের হৃদযন্ত্র, লিভার এবং কিডনির আকার স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই বেশি ছিল। জানা গিয়েছে এই সমস্ত শারীরিক সমস্যাগুলি একমাত্র রক্তচাপের সমস্যা থাকলেই দেখা যায়।
এছাড়াও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে যে নির্দিষ্ট ঠিক কী কারণে অগ্ন্যাশয়ের ভেতরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে এ সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হতে সৃঞ্জয় দাশগুপ্ত ওরফে প্রীতমের বিভিন্ন অর্গ্যানের স্যাম্পেল হিস্টো প্যাথলজিতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও মৃতের শরীরে বাইরে থেকে আঘাতের কোনও চিহ্ন মেলেনি। যার দরুন ময়নাতদন্তের প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত মিলছে যে, সৃঞ্জয়ের মৃত্যুতে কোনো অস্বাভাবিকতা নেই। যদিও পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টে ধোঁয়াশাগুলো আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তানকে সাপোর্ট বারাসতের যুবকের! মাটিতে ফেলে পেটাল জনতা
শোকপ্রকাশ দিলীপ ঘোষের
ময়নাতদন্তের পর নিমতলা শ্মশানে সৃঞ্জয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ। এই ঘটনায় ভেঙে পড়েন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘বুঝে উঠতে পারছি না, কী হয়েছে। ময়নাতদন্ত হবে, জলজ্যান্ত ছেলে কীভাবে চলে গেল! মায়ের সবকিছু ছিল ছেলে। ওঁর ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে খেলা দেখাতে নিয়েছিলাম। ওঁর প্রতি মোহ হয়ে গিয়েছিল। দুর্ভাগ্য আমার যে, পুত্র সুখ হয়নি, পুত্র শোক হল।কল্পনাও করতে পারছি না।’
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |