সহেলি মিত্র, কলকাতা: নির্ধারিত সময় ও দিনে আজ শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে উঠল বাংলার DA মামলা। আর এই মামলা উঠতেই রাজ্য সরকারকে বিরাট নির্দেশ দিল শীর্ষ আদালত। এদিন আদালত রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে, সরকারি কর্মীদের অন্ততপক্ষে ৫০ শতাংশ বকেয়া মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান করুক। তবে অন্যদিকে রাজ্য সরকারের আইনজীবী যা বললেন তা শুনে তাজ্জব সকলে। আইনজীবী জানালেন, এত পরিমাণ বকেয়া দেওয়া সম্ভব নয়। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। আরও বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির ওপর।
রাজ্যকে ৫০% বকেয়া দেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
সুপ্রিম কোর্টের তরফে শুক্রবার রাজ্যকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে ওঠে ডিএ মামলা। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট শুরুতেই বলে, অন্তত ৫০ শতাংশ বকেয়া ডিএ দিয়ে দিতে হবে রাজ্যকে। কিন্তু রাজ্য স্পষ্ট জানিয়ে দেন, অত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। রাজ্যের তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, “এত টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। আমি কিছু প্রতিশ্রুতি দিতে পারছি না আমার কর্মীদের। আমরা চালাতেই পারব না।”
এরপর আদালত পাল্টা বলে, ৫০% না হয়, ২৫ শতাংশ দেওয়া হোক সরকারি কর্মীদের। চার সপ্তাহের মধ্যে সকল কর্মচারীকে এই পরিমাণ ডিএ দিতে বলা হয়েছে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ এ কথা জানিয়েছে। যাইহোক, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে খুশি সরকারি কর্মীরা। এখন সরকার কী করে সেটাই দেখার। জানা গিয়েছে, আগামী আগস্ট মাসে হবে মামলার পরবর্তী শুনানি।
বকেয়া ১৫০% DA!
জানলে হয়তো আকাশ থেকে পড়বেন, বর্তমানে বাংলার সরকারি কর্মীদের ডিএ বকেয়া রয়েছে ১৫০%। এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বলেন, “আমরা সব রায় দেখেছি। হাইকোর্টের দু’জন বিচারপতি টাকা দেওয়ার পক্ষে রায় দিয়েছেন। এটা সত্যি, যে এটা কোনও অধিকার নয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে টাকা দেব না। অন্তত ২৫ শতাংশ দিন।”
আরও পড়ুন; এভারেস্ট জয়ের পরেই আনন্দ হল মাটি! মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল রানাঘাটের সুব্রত
রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একটি অংশ যখন বকেয়া বেতন সহ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সাথে ডিএ সমতা দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়, তখন এই বিরোধ শুরু হয়। ২০২২ সালের মে মাসে, হাইকোর্ট রাজ্যকে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
তবে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করে, ২০২২ সালের নভেম্বরে একটি আপিল দায়ের করে। তারপর থেকে, মামলাটি একাধিক শুনানি এবং স্থগিতকরণের সম্মুখীন হয়েছে, প্রায়শই সময়সূচী দ্বন্দ্ব এবং বেঞ্চ পুনর্নির্ধারণের কারণে। যদিও আজকের রায় কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়েছে সরকারি কর্মীদের বলে মনে করা হচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |