IMF দিয়েছে মোটা ঋণ, ওই টাকা দিয়ে S-400 কিনতে পারবে পাকিস্তান?

Published on:

Is Pakistan going to buy S-400 this time

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক আগুনে ফের ঘি ঢেলেছে সন্ত্রাসবাদের দেশ (Pakistan)। সূত্রের খবর, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভান্ডার (IMF) থেকে 2.4 বিলিয়ন ডলার ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান। আর এই অর্থের ব্যবহার নিয়ে দেখা যাচ্ছে সন্দেহ।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন হচ্ছে – এই টাকা দিয়ে পাকিস্তান কী করবে? রাশিয়ার কাছ থেকে কি ভারতের মতো শক্তিশালী S-400 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কিনবে? চলুন দেখে নেওয়া যাক, এই আশঙ্কা কতটা যুক্তিসম্মত!

এই ঋণ নেওয়ার পিছনে আসল উদ্দেশ্য কী?

পাকিস্তানের অর্থনীতি সম্প্রতি ভরাডুবির মধ্যে। জ্বালানির ঘাটতি থেকে শুরু করে মুদ্রাস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি, সবদিক দিয়ে দেশটি প্রায় দেউলিয়া হওয়ার মুখে। আর এহেন আবহে IMF থেকে 2.4 বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ পেয়েছে তারা।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এই অর্থ কিসে খরচ করা হবে? IMF-এর নিয়ম অনুযায়ী, এই অর্থ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরাতে, সামাজিক খাতে বা সংস্কারমূলক কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। এমনকি ঋণের টাকা কোন খাতে ব্যবহার করা হচ্ছে, তা সরাসরি নজরদারিও থাকে। তবে হ্যাঁ, অস্ত্র কেনার মত সামরিক কাজে এই অর্থ ব্যবহার করার কোনও অনুমতি নেই।

তাহলে S-400 কেনার প্রসঙ্গ আসছে কেন?

বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ পাকিস্তানের দিকে আঙুল তুলে সন্দেহ করছে, তারা হয়তো ভারতের মতো S-400 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কিনতে চলেছে। বলে রাখি, রাশিয়ার তৈরি S-400 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এমন এক বিমান প্রতিরক্ষা সংস্থা, যা ভারত ইতিমধ্যেই কিনেছে। আর এটি নিমেষের মধ্যেই আকাশেই সবকিছুকে গুঁড়িয়ে দিতে পারে।

তবে হ্যাঁ, পাকিস্তানের পক্ষে এটি পাওয়া সহজ নয়। কারণ রাশিয়া এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্ক বরাবরই বন্ধুর মতো। আর রাশিয়া জানে, পাকিস্তান এই প্রযুক্তি আমেরিকার হাতে তুলে দিতে পারে, যা রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। তাই বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করছে, রাশিয়া পাকিস্তানকে এই প্রযুক্তি বিক্রি করার কোনোরকম ঝুঁকি নেবে না।

আরও পড়ুনঃ ‘সরকারের সাথে কোনও সম্পর্ক নেই’, ভারতের বিমানবন্দরে কাজ খুইয়ে মুখ খুলল তুর্কির সংস্থা

পশ্চিম দিকের দেশের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে?

যদি কাঙালের দেশ IMF-এর এই ঋণ নিয়ে ভুল পথে খরচ করে, তাহলে সামরিক খাতে বিরাট প্রভাব পড়বে। সেক্ষেত্রে আমেরিকা, ইউরোপ সহ অন্যান্য পশ্চিম দিকের দেশগুলি প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। আর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে আন্তর্জাতিক ঋণ পাওয়াও সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এমনিতেই পাকিস্তান অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছে। তারপর এই অস্ত্র কেনার তাদের পক্ষে কতটা যুক্তিসম্মত, তা নিয়ে সংশয় থাকছে। এখন দেখার পাকিস্থান এই টাকা কোন খাতে ব্যবহার করে।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
Join Group