বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারতের সাথে সংঘাতের আবহে তুরস্ক ও আজারবাইজানকে (Azerbaijan) পাশে পেয়েছে পাকিস্তান। সেই তুরস্ক যাকে 2023 সালে ভূমিকম্পের সময় বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ভারত। মূলত অপারেশন দোস্ত নামে অসংখ্য ত্রাণ সামগ্রী ও মেডিকেল সরঞ্জাম নিয়ে তুর্কির উদ্ধারকারী হয়েছিল দিল্লি!
অন্যদিকে পাক শুভাকাঙ্ক্ষী আজারবাইজান যে কিনা ভারত থেকে একাধিক প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য আমদানি করে একপ্রকার বেঁচে রয়েছে, সেই মুসলিম দেশ একেবারে ভারতের বিরুদ্ধে গিয়ে পাকিস্তানের গলায় গলা মিলিয়েছে। আর হবে নাই বা কেন, অনেকেই বলছেন দুই দেশই তো সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেয়! যাই হোক, সেসব বিতর্ক থেকে বেরিয়ে এবার আসা যাক ভারতীয়দের প্রসঙ্গে।
পাকিস্তানের সাথে সংঘর্ষবিরতির পরই বেঁকে বসেছেন দেশবাসী! কেন? দাবি একটাই, শত্রুর বন্ধু তুরস্ক ও আজারবাইজানকে বয়কট করতে হবে। সেই লক্ষ্যেই দুই দেশের একাধিক ফ্লাইট ও হোটেল বুকিং বাতিল করেছেন ভারতীয় পর্যটকরা। এবার দাবি উঠছে বাণিজ্য বন্ধেরও। সেই প্রসঙ্গেই চলতি সপ্তাহে আমাদের পোর্টালে তুরস্ক ও ভারতের মধ্যে পণ্য আদান-প্রদান অর্থাৎ আমদানি ও রপ্তানি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। আজকের প্রতিবেদনে রইল ভারত ও আজারবাইজানের আমদানি ও রপ্তানির খবর।
ভারত থেকে কী কী পণ্য আমদানি করে আজারবাইজান?
পাকিস্তানের সমর্থনকারী আজারবাইজান ভারত থেকে প্রতিবছর নানান প্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানি করে থাকে। সেই তালিকায় রয়েছে, একাধিক দামি ওষুধ, ইলেকট্রনিক্স দ্রব্য, প্রয়োজনীয় নানান যন্ত্রপাতি, সেরামিক প্রোডাক্ট, নানান শস্যজাত দ্রব্য, বেশকিছু মশলা সহ একাধিক প্রয়োজনীয়, বলা যায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য।
ভারত আজারবাইজান থেকে কী কী আমদানি করে থাকে?
অন্যান্য দেশের মতো ভারতও আজারবাইজান থেকে বেশ কিছু পণ্য আমদানি করে। ভারতের আমদানিকৃত পণ্যগুলির তালিকায় রয়েছে, মিনারেল অয়েল, পশু খাদ্য, প্রয়োজনীয় রাসায়নিক, চামড়া, অ্যালুমিনিয়াম, খাঁটি সুতির পোশাক সহ বেশ কিছু প্রয়োজনীয় কাঁচামাল। তবে ভারতীয় নাগরিকদের আহবানে খুব শীঘ্রই আজারবাইজান থেকে পণ্য আমদানি বন্ধ কিংবা কমিয়ে দিতে পারে কেন্দ্র, এমনটাই মনে করছেন অনেকেই।
অবশ্যই পড়ুন: মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে লটারিতেই ভাগ্য ফিরবে এই ৭ রাশির! বাকিদের অবস্থা কেমন? দেখে নিন
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার কনফেডারেশন অফ অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের তরফে পাকিস্তানের সমর্থনকারী তুরস্ক ও আজারবাইজানের বিভিন্ন পণ্যদ্রব্য আমদানি বন্ধের কথা জানানো হয়েছিল! সেই সাথেই ওই একই দিনে দেশের প্রায় 125 জন ব্যবসায়ী এই দুই দেশের সাথে ব্যবসা বন্ধের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। সব মিলিয়ে বলা যায়, পাকিস্তানের সাথে সংঘাতের আবহে তৃতীয় পক্ষের বাড়বাড়ন্তে নাগরিকরা বুঝিয়ে দিয়েছেন দেশের ঊর্ধ্বে কিছু নয়।