সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: প্রতিবেশি দেশ (Bangladesh) বলে রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল ভারত। আর এখন ভারতের বিরুদ্ধেই শান্তিতে নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনূসের দেশ ষড়যন্ত্র আঁটছে। রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবার সরাসরি প্রভাব ফেলছে দুই দেশের বাণিজ্যের সম্পর্কে।
সম্প্রতি ভারত সরকারের বাণিজ্য এবং শিল্প মন্ত্রকের অধীনস্থ বৈদেশিক বাণিজ্য দপ্তর এমন এক সিদ্ধান্তের পথে হেঁটেছে, যা রীতিমতো টনক নাড়িয়ে দিয়েছে দুই দেশের ব্যবসায়ীক মহলে। এক্কেবারে বাংলাদেশের জন্য ব্যবসার সব রাস্তায় তালা মেরে দিয়েছে দিল্লি।
বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ সমস্ত আমদানি
ভারত সরকার গতকাল জানিয়েছে, এখন থেকে বাংলাদেশের তৈরি রেডিমেড পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য, প্লাস্টিকের সামগ্রী, কাঠের আসবাবপত্র, রং ইত্যাদি পণ্য আর ভারতে সরবরাহ করা হবে না। এমনকি ভারতের কোনও সীমান্ত বা বন্দর দিয়ে বাংলাদেশি কোনও পণ্য প্রবেশ করতে পারবে না। তবে হ্যাঁ, এই পণ্যগুলি যদি ভারতের হয়ে নেপাল বা ভুটানে পাঠানো হয়, তাতে ভারত সরকার কোনও বাঁধা দেয়নি।
বিরাট ধাক্কা খেল বাংলাদেশের ব্যবসা
ওপার বাংলার সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতের এই নিষেধাজ্ঞা রপ্তানিকারকদের মধ্যে চরম উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, 2023-24 অর্থবর্ষে প্রায় 157 কোটি ডলারের বাংলাদেশী পণ্য ভারতে আমদানি হয়েছিল। আর এর মধ্যে রেডিমেড পোশাক এবং ফুড প্রোডাক্ট ছিল সবথেকে বেশি। এদিকে স্থলপথে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাংলাদেশের প্রধান মাধ্যম ছিল। আর সেই রুটেই এবার তালা বন্ধ করে দিয়েছে ভারত সরকার।
আরও পড়ুনঃ মধ্যবিত্তদের স্বস্তি দিয়ে ফের দাম কমল সোনার, পকেটে চাপ ফেলছে রুপো! আজকের রেট
তবে বেশ কিছু বিশ্লেষক মনে করছে, ভারত এই পদক্ষেপ হঠাৎ করে নেয়নি। 2025-র 15 এপ্রিল বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভারত থেকে স্থলপথে সুতো আমদানি বন্ধ করে দিয়েছিল। আর ভারতের এই পদক্ষেপকে অনেকেই ওপার বাংলার সুতো আমদানি বন্ধের পাল্টা কৌশল বলেই দাবি করছেন।
তবে বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এই ধরনের বিচ্ছিন্ন পদক্ষেপ দুই দেশের জন্যই অর্থনৈতিক ক্ষতি। আমরা ভারতের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই বিষয়টিকে সমাধান করার চেষ্টা করব। এখন দেখার ভারতের সঙ্গে আবারও বাংলাদেশের বাণিজ্য আগের জায়গায় পৌঁছোয় কিনা।