প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: বছর ঘুরলেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। তাই এখন থেকেই চলছে জোর কদমে প্রস্তুতি। আর এই প্রস্তুতির মাঝে সরকার গঠনকে কেন্দ্র করে জোর টক্কর চলছে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। কিন্তু নির্বাচনের আগেই এবার দেশের অন্দরে ঘরোয়া রাজনীতির পারদ আরও চড়ল। অপারেশন সিঁদুর’-এর পর মোদী সরকারের সর্বদলীয় কূটনৈতিক বিষয়টি নিয়ে এবার রাজ্যে সরকার নিল এক চরম সিদ্ধান্ত।
কেন্দ্রের নয়া কূটনৈতিক পন্থা
পহেলগাঁও-এ পর্যটকদের উপর জঙ্গি সন্ত্রাসবাদের ঘটনার জেরে গোটা দেশ ক্ষুব্ধ। আর এই হামলার প্রতিশোধ নিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) অভিযানের মাধ্যমে পাকিস্তানের ডেরায় রাতারাতি উড়িয়ে দিয়েছিল ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি। আর তারপরেই শুরু হয়েছিল ভারত পাকিস্তানের মধ্যে গুলির লড়াই। তবে এবার বিশ্বের কাছে পাকিস্তানকে এক ঘর করে রাখতে মোদি সরকার নিল এক অভিনব কূটনৈতিক পন্থা। জানা গিয়েছে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাংসদ এবং প্রতিষ্ঠিত কয়েকজন ব্যক্তিকে নিয়ে একটি প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে বিশ্ব জুড়ে।
ইউসুফকে পাঠাচ্ছে না তৃণমূল
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানা গিয়েছে বিভিন্ন সাংসদ এবং প্রতিষ্ঠিত কয়েকজন ব্যক্তিকে নিয়ে মোট ৫৯ জনের সাতটি প্রতিনিধি দল তৈরি করা হয়েছে। যাঁদের মাধ্যমে বিশ্বের ৩২টি দেশে পৌঁছে দেওয়া হবে বার্তা যে ভারত কীভাবে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদের শিকার এবং কীভাবে পাকিস্তান থেকে সন্ত্রাসবাদীরা বিভিন্ন দেশ এবং ভারতকে রক্তাক্ত করে তুলছে। আর এই আবহেই গতকাল রাত থেকেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল যে তৃণমূলের তরফ থেকে যাচ্ছেন ইউসুফ পাঠান। তবে এবার সেই প্রস্তাব নাকচ করল শাসকদল। এমনকি গত কাল প্রতিনিধিদলের যে তালিকা প্রকাশ করেছিল কেন্দ্র, সেখান থেকে তাদের প্রতিনিধির নামও ফিরিয়ে নিয়েছে তৃণমূল।
কেন্দ্রের রাজনৈতিক চাল নিয়ে বিতর্ক
সূত্রের খবর, গত কাল তৃণমূলের লোকসভার সাংসদ ইউসুফ পাঠানের সঙ্গে বিদেশ মন্ত্রক এবং সংসদীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজুর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। বিদেশ যাত্রার তাগিদে তাঁর পাসপোর্ট সংক্রান্ত নথি চেয়ে নেওয়া হয় এবং সফরসূচি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনাও করা হয়। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যেই সেই পরিকল্পনা খর্ব করে তৃণমূল। শাসকদলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় যে, এই প্রতিনিধিদলে তাঁদের পক্ষ থেকে কেউ যাবেন না। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “আমরা সম্পূর্ণ ভাবে দেশ এবং জাতীয় স্বার্থের পক্ষে। কিন্তু আন্তর্জাতিক কূটনীতি করাটা কেন্দ্রের কাজ। আমাদের নয়।”
তৃণমূল সূত্রে খবর, দলকে না জানিয়েই কেন্দ্র নিজেদের ইচ্ছেমতন নাম নির্বাচন করে তালিকা তৈরী করেছে। এমনকি দলনেতা বা নেত্রীর সঙ্গে কথা না বলে বা আনুষ্ঠানিক ভাবে চিঠি না দিয়ে সেই দলেরই সাংসদকে ফোন করে পাসপোর্ট চেয়ে নেওয়া শৃঙ্খলার পরিপন্থী। তাই এই প্রস্তাব নাকচ করে তৃণমূল। এদিকে শুধু তৃণমূল নয়, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের এই উদ্যোগকে শিবসেনা এবং কংগ্রেস প্রকাশ্যেই সমালোচনা করছে।
আরও পড়ুন: বীরভূমে কেষ্ট আর মিটিং-মিছিল ডাকবেন না! নির্দেশ মমতার, অনুব্রত যুগ কী শেষ?
তাদের অভিযোগ, এটা শাসক দল বিজেপির একটি চাল। আসলে এখনও পর্যন্ত পহেলগাঁও কাণ্ডে অপরাধীদের ধরতে না পারার কারণে যে হিংসাত্মক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে দেশবাসীর মনে, তার থেকে নজর ঘোরাতেই সবাইকে সঙ্গে নেওয়ার আয়োজন করছে মোদি সরকার। অন্যদিকে রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গেকে টপকে শশী তারুরকে প্রতিনিধিদলের নেতা হিসাবে বেছে নিয়েছে কেন্দ্র। আর তা নিয়েই উঠে আসছে কেন্দ্রের রাজনীতির প্রসঙ্গ। শুধু তাই নয় উদ্ধব ঠাকরের কাছে অনুমতি না নিয়েই প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদীকে প্রতিনিধিদলে রাখায় ক্ষোভ রয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |