প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত বছর রাজ্য বিধানসভার বাজেটে সমুদ্র সাথী প্রকল্প (Samudra Sathi Scheme) ঘোষণা করেছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বলা হয়েছিল, ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরে ‘ব্যান পিরিয়ডে’র সময় যে দুই মাস মৎস্যজীবীরা সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারবেন না, তাদের পরিবার পিছু ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। কিন্তু এবার সেই প্রকল্পের বিরুদ্ধে উঠে এল ভয়ংকর অভিযোগ। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও ঠিকভাবে তার দায়িত্ব পালন করেনি সরকার।
মাইক বেঁধে সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার!
রাজ্য সরকারের তরফে সমুদ্র সাথী প্রকল্প ঘোষণার বছর ঘুরেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত প্রকল্পের টাকা ঢুকল না উপকূলের মৎস্যজীবীদের। আর এই আবহে ফের এসেছে আর এক ‘ব্যান পিরিয়ড’। যার দরুন আগে থেকেই ক্ষোভ জন্মেছিল সকলের মনে। এবার সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায় উপকূলের মৎস্যজীবীরা। গত রবিবার তাঁরা রাজ্যের এই ‘বঞ্চনা’র বিরদ্ধে সরব হয়ে গ্রামে মাইক বেঁধে রিকশায় করে প্রচার শুরু করা হয়। এলাকায় এলাকায় লাগানো হয় সরকারের বিরুদ্ধে পোস্টার। রীতিমত ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে গ্রামবাসী।
এ দিন পূর্ব মেদিনীপুর মৎস্যজীবী ফোরামের উদ্যোগে সকাল থেকে কাঁথি-১, দেশপ্রাণ এবং খেজুরি-২ ব্লক জুড়ে মৎস্যজীবীদের গ্রাম, মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং খটিগুলিতে প্রচার করা হয়। রীতিমত আটঘাট বেঁধে শুরু হয় সেই প্রচারপর্ব। তিনটি রিকশা জুনপুট, হরিপুর খটি, পেটুয়াঘাট মৎস্য বন্দর হয়ে খেজুরিতে প্রচার করেছে। আর এই প্রচার চলাকালীন সরাসরি অভিযোগ করা হয় যে, ‘সমুদ্র সাথী’ প্রকল্পের টাকা না দিয়ে সরকার মৎস্যজীবীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।
ক্ষুব্ধ মৎস্যজীবী সমিতির সম্পাদক
এই কর্মকাণ্ড নিয়ে কাঁথি মহকুমা মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক দেবব্রত খুটিয়া বলেন, ‘‘মাইক প্রচার শুনে গ্রামের মৎস্যজীবীরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে সরকারের প্রবঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। একদিকে সমুদ্র সাথী প্রকল্পের টাকা দেয়নি। আবার ব্যান পিরিয়ডে ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদেরও সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।’’ অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের সম্পাদক দেবাশিস শ্যামলের মুখেও একই সুর শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘‘আজ, সোমবার রামনগরের দু’টি ব্লক, সুতাহাটা এবং মহিষাদলেও একই বিষয়ে প্রচার করা হবে।”
আরও পড়ুন: অতিসক্রিয়তার অভিযোগে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা হাইকোর্টে! কবে শুনানি?
ভোট হাতছাড়ার আতঙ্ক
প্রসঙ্গত, বছর ঘুরলেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। এদিকে তার আগে ‘সমুদ্র সাথী’ প্রকল্পে বঞ্চনা নিয়ে যেভাবে মৎস্যজীবী সংগঠনগুলি সরব হচ্ছে, তাতে ভোট বাক্সে প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তার উপর গত লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি লোকসভা কেন্দ্র হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। এবারেও বেশ কয়েকটি কেন্দ্র হাতছাড়া হওয়ার ভয় পাচ্ছে শাসকদল। তাই এবার দেখার বিষয় কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |