সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ছত্রিশগড়ের (Chhattisgarh) জঙ্গলঘেরা এলাকায় রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের ময়দান তৈরি হয়েছে বুধবার সকাল থেকে। গোলাগুলির শব্দে কার্যত কেঁপে উঠেছে নারায়নপুরের অবুজমাঢ়ের বনাঞ্চল। আর এই অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনী বিরাট সাফল্য পেয়েছে। সূত্রের খবর, এক এনকাউন্টারে একসঙ্গে 30 জন মাওবাদী নিকেশ হয়েছে। আর যার মধ্যে সংগঠনের শীর্ষ নেতানাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসব রাজের নামও ছিল। জানা যাচ্ছে, তার মাথার দামই ছিল এক কোটি টাকা।
কে এই বাসব রাজ?
বেশ কিছু সূত্র মারফত জানা গেল, নেতানাম্বালা কেশব রাও, যার ছদ্মনাম বাসব্রাজ, তিনি মাওবাদী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক। দীর্ঘদিন ধরেই ভারত সরকারের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় তার নাম শীর্ষে ছিল। আর দেশের বিভিন্ন রাজ্যে হিংসার ছায়া বিস্তার করছিল এই কুখ্যাত মাওবাদী। আর এই নেতার খোঁজেই বহু বছর ধরে তল্লাশি চালাচ্ছিল নিরাপত্তা বাহিনী। অবশেষে বুধবার তার শেষ পরিণতি হল।
কীভাবে চলল এই অভিযান?
গোয়েন্দাদের সূত্র মারফত খবর, ঐদিন ভোরবেলা নারায়ণপুরের গভীর জঙ্গলে এক বিশেষ অভিযান শুরু করে ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড। আর এই অভিযান চলে নারায়ণপুর, বিজাপুর এবং দান্তেওয়াড়াতে। সূত্রের খবর, শীর্ষ মাওবাদী নেতাদের গোপন বৈঠক চলছিল সেখানে। আর এই খবর জানতে পেরে পুরো এলাকা ঘেরাও করে ফেলা হয়।
এর পরেই শুরু হয় গুলি বিনিময়। একদিকে মাওবাদীদের অগ্নি বর্ষণ, আর অন্যদিকে নিরাপত্তা বাহিনীদের গুলির বৃষ্টি। প্রায় কয়েক ঘন্টা ধরে চলা এই সংঘর্ষে মৃত্যু হয় 30 জন মাওবাদীর, যাদের মধ্যে বাসব রাজের নামও ছিল।
কয়েকদিন আগেই হয়েছিল সফল এনকাউন্টার
প্রসঙ্গত, এপ্রিল মাসে বিজাপুর জেলার জঙ্গলে এক এনকাউন্টারে খতম করা হয়েছিল 22 জন মাওবাদীকে। আর সেই অভিযান চলেছিল অপারেশন সংকল্পের আওতায়। আর সেখানে অংশ নিয়েছিল রাজ্যের পুলিশ, CRPF, CoBRA এবং অন্যান্য বিশেষ বাহিনীর প্রায় 24 হাজার জওয়ান।
আরও পড়ুনঃ কেরলকে টপকে ১০০% স্বাক্ষরতার রাজ্যের তকমা অর্জন করলো মিজোরাম! বাংলা কোথায়?
জানুয়ারির রক্তাক্ত হামলার প্রতিশোধ?
প্রসঙ্গত, জানুয়ারি মাসে বিজাপুরে মাওবাদীদের মাইন বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল 8 জন সেনা জওয়ান সহ মোট 9 জনের। এমনকি এই অভিযানের পর জওয়ানদের গাড়ি লক্ষ্য করে পরিকল্পিত হামলাও চালিয়েছিল কুখ্যাত মাওবাদীরা। সেনাবাহিনীর এই অভিযান যেন সেই ভয়াবহ ঘটনারই জবাব।