বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারতের কাছে বেধড়ক পেটানি খাওয়ার পর এবার সুর নরম করেছে পাকিস্তান (Pakistan)! আসলে দিল্লি, পাকিস্তানের প্রতি বাণিজ্য ও সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি নিয়ে কঠোর অবস্থানে থাকায় একেবারে শোচনীয় অবস্থা হয়েছে পশ্চিম দিকের দেশের। আর সেই কারণেই ভারতের সাথে নতুন করে বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়তে চাইছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ।
শোনা যাচ্ছে, মূলত আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের পরই ভারতের সাথে সখ্যতা বাড়াতে উঠেপড়ে লেগেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। বেশ কয়েকটি সূত্র মারফত খবর, ভারতের কঠোর অবস্থানের পর ক্ষতির আশঙ্কা মাথায় রেখেই এবার একটি মুসলিম দেশকে ব্যবহার করে ভারতের সাথে আলোচনায় বসতে চাইছে পাকিস্তান। সেই মতোই দিল্লির কাছাকাছি আসার চেষ্টায় রয়েছে ইসলামাবাদ।
তৃতীয় মুসলিম দেশকে ব্যবহার করতে চাইছে পাকিস্তান
বেশ কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ভারত-পাক যুদ্ধবিরতির পর হঠাৎ করেই সোজা পথে হাঁটতে শুরু করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। যদিও সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়দাতার এমন নরম অবস্থানের নেপথ্যে যে বড় স্বার্থ রয়েছে তা বুঝতে বাকি নেই কারোরই। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনার জন্য সৌদি আরব একটি নিরপেক্ষ স্থান।
ফলত, এই মুসলিম দেশটিকে ব্যবহার করেই ভারতকে মলম লাগাতে চাইছেন শরীফ। যদিও দিল্লির তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, শুধুমাত্র সীমান্তে সন্ত্রাসবাদ বন্ধ ও পাক অধিকৃত কাশ্মীর ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয় ছাড়া আর কোনও ক্ষেত্রে পাকিস্তানের সাথে আলোচনায় বসতে রাজি নয় ভারত। অনেকেই মনে করছেন, ভারতের এমন কঠোর অবস্থানের পরই ক্ষতির মুখে পড়তেই নতুন করে কেন্দ্রের হাতপায়ে ধরার মতো অবস্থা হয়েছে পাকিস্তানের!
বেশ কয়েকটি পাক সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ভারতের সাথে সম্পর্ক ঠিক করতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ নাকি জানিয়েছেন, চিনকে নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে বেছে নেওয়া হলে ভারত সেখানে থাকবে না! তাই সৌদি আরব দুই দেশের আলোচনার অন্যতম নিরপেক্ষ স্থান হয়ে উঠতে পারে। আসলে ট্রাম্পের বক্তব্যের পরই কার্যত উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন শরীফ।
তিনি চাইছেন মুসলিম দেশ সৌদি আরবের সাথে এদেশের সম্পর্ককে ব্যবহার করে দিল্লির সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, সিন্ধু জলচুক্তি সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে। এ প্রসঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে জানতে চাওয়া হলে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এবার দুই দেশের মধ্যে কাশ্মীর, জল, বাণিজ্য এবং সন্ত্রাসবাদ এইসব বিষয়েই আলোচনা হবে।
পাকিস্তানকে গোপনে সমর্থন করছে আমেরিকা?
সম্প্রতি আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে কাতারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নিজের পুরনো অবস্থান থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন আমেরিকার প্রধান। এদিন ট্রাম্প বলেন, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ 100 বছরেরও বেশি সময়কার। আমি এমনটা বলব না যে দুই দেশের মধ্যে সব সমস্যা নির্মূল হয়ে গেছে, তবে এ কথা বলতে কোনও সমস্যা নেই আমি দুই দেশের মধ্যে সমস্যা সমাধান করেছি।
অবশ্যই পড়ুন: BCCI নয়, ইডেনে IPL ফাইনাল না হওয়ার পিছনে হাত এই প্রভাবশালীর! প্রকাশ্যে এল নাম
এদিন মূলত বাণিজ্যের মধ্যে দিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সমস্যা সমাধানের ওপর জোর দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেই পথ ধরেই ভারতের সাথে আলোচনায় বসতে চাইছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। আর এরপরই প্রশ্ন উঠছে বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি আমেরিকার ভূমিকা নিয়ে। অনেকেই বলছেন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতকে বন্ধু বলে গলা ফাটালেও আদতে পাকিস্তানকে গোপনে সমর্থন করছে আমেরিকা! বেশ কয়েকটি সূত্র জানাচ্ছে, আমেরিকার আর্থিক সমর্থনেই ফুলেফেঁপে উঠছে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ!
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |