ভারত ব্যবসার বন্ধ করার জের, বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পাকিস্তান! ধুঁকছে আমদানি-রফতানি

Published on:

Pakistan Import

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: পাকিস্তানের আমদানি ও রপ্তানিতে (Pakistan Import) একের পর এক ধাক্কা লেগেই রয়েছে। কারণ ভারত এখন আর করাচি বা সাউথ এশিয়ার পাকিস্তান টার্মিনাল থেকে আসা কোন কার্গো নিজেদের বন্দরে ঢুকতেই দিচ্ছে না। কার্যত তালা বন্ধ করে দিয়েছে নিজেদের বন্দরে।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

মুম্বাইয়ের এক শিপিং কোম্পানির আধিকারিক জানিয়েছেন, পাকিস্তান সফর করেছে এমন কোনও জাহাজ ভারতের কোনও বন্দরে ঢোকার অনুমতিটুকু পাচ্ছে না। তবে একইরকম পরিস্থিতি ভারতের দিক থেকেও ঘটছে। হ্যাঁ, ভারত থেকে সরাসরি পাকিস্তানে জাহাজ পাঠানোও কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

বন্ধ সরাসরি সার্ভিস

এই নিষেধাজ্ঞার জেরে শিপিং লাইনগুলি পাকিস্তানে সরাসরি এবার মাদার ভেসেল পাঠানোতে ইতি টেনেছে। তার বদলে ছোট ছোট ফিডার ভেসেল ব্যবহার করে চালান পাঠানো হচ্ছে বলে খবর। আর এতে করে ডেলিভারিতে হচ্ছে বিলম্ব, পাশাপাশি পরিবহনের খরচও হু হু করে বাড়ছে। 

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

বিশেষ করে পাকিস্তান থেকে ইউরোপে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে যে বন্দর ব্যবহার করা হতো, তাতেও এখন তালা পড়ে গিয়েছে। আর এর জোরে ইউরোপের দেশগুলিতে রপ্তানিতে বিরাট ধাক্কা খাচ্ছে সন্ত্রাসের দেশ।

বর্তমানে ট্রানসিপমেন্টের কী অবস্থা?

বর্তমানে শিপিং কোম্পানিগুলি কলম্বো, সালালাহ এবং জেবেল আলির মত বিকল্প পয়েন্ট ব্যবহার করছে বলেই খবর। তবে সমস্যা এতেও কিছু কম নয়। কারণ তাদের ওপর এখন জরুরি অপারেশন সারচার্জ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি পাকিস্তানে রওনা দেওয়া জাহাজগুলোর ইন্সুরেন্স খরচ অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে। 

ঘনিয়ে আসছে অর্থনৈতিক সংকট

পাকিস্তানের অর্থনীতির বহুদিন ধরেই টালমাটাল অবস্থা। আর এখন এই সমস্যার জেরে তারা যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ, কাঁচামাল বা কৃষি সংক্রান্ত জিনিসপত্র আমদানি করতে পারত, সেগুলোতেও যে ভাটা পড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এমনকি রপ্তানির দিক থেকে বিশেষ করে খাদ্যশস্য বা টেক্সটাইল পণ্যেও পাকিস্তান বিরাট ধাক্কা খাবে বলে মনে করা হচ্ছে। সবথেকে বড় ব্যাপার, পাকিস্তানের রুপির দাম তলানিতে ঠেকছে। মে মাসের তুলনায় রেট অনেকটাই নীচে নেমে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে 282.77 পাকিস্তানি রুপি, যেখানে এপ্রিল মাসে ছিল 280.79 পাকিস্তানি রুপি।

চালের বাজারে ভারতের সুবিধা?

পাকিস্তানি বন্দরে পণ্য আটকে যাওয়ার জেরে চাল রপ্তানিতে তারা বিরাট ধাক্কা খাচ্ছে। সম্প্রতি এক তথ্য অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, চাল এবং কাঠ পরিবহনের জাহাজগুলি সাধারণ ক্যাটাগরিতে পড়ছে। আর সেগুলি পৌঁছতে 2-3 দিন দেরি হয়ে যাচ্ছে। এমনকি প্রায়োরিটি জাহাজও 1 দিন দেরি করছে। আর এরই মাঝে ভারতের চাল রপ্তানিকারীরা লাভের গুড় পুষিয়ে নিচ্ছে। 

আরও পড়ুনঃ আমেরিকা, চিন নয়! বিশ্বের ইঞ্জিন হবে ভারত, ভবিষ্যদ্বাণী জেপি মরগানের

দিল্লির এক রপ্তানিকারী জানিয়েছেন, বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাসমতি চালের দাম প্রায় 20 শতাংশ ঊর্ধ্বগতিতে ঠেকেছে। আগে যেখানে ভারতীয় বাসমতি চাল ছিল 850 মার্কিন ডলার প্রতি টন, এখন তা বেড়ে 1050 থেকে 1100 মার্কিন ডলার প্রতি টনে পৌঁছে গিয়েছে। যদিও পাকিস্তানে এখন 1075 মার্কিন ডলার প্রতি টন চাল বিক্রি হচ্ছে। তবুও সরবরাহ দেরির কারণে ভারতের চালের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ দিনের পর দিন বাড়ছে।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
Join Group