পড়ুয়াশূন্য ৩৪৮টি সরকারি স্কুল, শুধু কলকাতায় ১১৯! বাধ্য হয়ে অঙ্গনওয়াড়ি তুলে আনা হচ্ছে

Published on:

school shutdown

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: রাজ্যের স্কুলগুলিতে (State Government School) যেন ভাটা পড়েছে! বর্তমান পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, 348 সরকারি স্কুলে আর ছাত্রছাত্রীদের কোনও কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে না। নেই কোনও উপস্থিতির খাতা, নেই কোনও ছেলেমেয়েদের কোলাহল। গত চার বছর ধরে এই স্কুলগুলোতে একটিও বাচ্চা ভর্তি হয়নি। সে শহর হোক বা গ্রাম, সবজায়গায় একই চিত্রই।

চমক দেওয়ার বিষয়, জিরো এনরোলমেন্টের তালিকায় সবথেকে উপরে রয়েছে কলকাতার নাম। হ্যাঁ, একদম ঠিকই পড়েছেন। শুধু মহানগরীতেই 119 টি সরকারি স্কুলে কোনো পড়ুয়া নেই। এমনকি উত্তর 24 পরগনাও পিছিয়ে নেই। সেখানেও রয়েছে 60 টি পড়ুয়া শূন্য স্কুল।

স্কুল আছে, কিন্তু নেই কোনও পড়ুয়া

আসলে বহু পুরনো স্কুল যেগুলি স্বাধীনতার আগেও স্থাপিত, সেগুলি আজ প্রায় পড়ুয়া শূন্য। শিক্ষকদের বক্তব্য, শহরের মানুষজন এখন বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়ামকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। ফলে সরকারি বাংলা মিডিয়ামে ভর্তি হওয়ার সংখ্যা অনেকাংশে কমে গিয়েছে। 

এ বিষয়ে শিক্ষক সংগঠনের নেতা অনিমেষ হালদার বলেছেন, শিক্ষক নিয়োগের ঘাটতি, পরিকাঠামোগত অভাব এবং শিক্ষার নিম্নমানের কারণে ছাত্রছাত্রীরা এখন সরকারি স্কুল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

ইন্ডিয়াহুডের বিশেষ প্রতিবেদন

তাহলে শিক্ষকরা কোথায়?

এখন এই প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক যে, ছাত্রছাত্রী নেই, কিন্তু শিক্ষকরা কোথায়? সূত্রের খবর, অনেক জায়গায় শিক্ষকদের অন্যান্য স্কুলে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, যেখানে পড়ুয়ার সংখ্যা অনেকটাই বেশি। আবার কোথাও দু-একজন শিক্ষককে রেখেও দেওয়া হয়েছে, যদি হঠাৎ করে কেউ স্কুলে ভর্তি হয়। এমনকি কিছু স্কুলে শিক্ষক অবসর নেওয়ার পর আর সেখানে আর কেউ নেই।

আর এত কিছুর পরেও সরকার এখনো এই স্কুলগুলোকে বন্ধ করেনি। এমনকি তালিকাভুক্ত 348 টি স্কুলের মধ্যে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক, হাইস্কুল সবকিছুই রয়েছে। তবে স্কুলগুলি অধিকাংশ বাংলা মাধ্যম হলেও, কিছু হিন্দি বা নেপালি মাধ্যমের স্কুলও রয়েছে বলে সূত্রের খবর। 

আরও পড়ুনঃ সেনাবাহিনীকে অন্ধকারে রাখছে ইউনূস! হুঁশিয়ারি জেনারেলের

অঙ্গনওয়াড়ি স্থানান্তরের পরিকল্পনা

এই ভরাডুবির মাঝে কূলকিনারা খুঁজে পাচ্ছে না রাজ্য সরকার। তাই নারী, শিশু এবং সমাজকল্যাণ দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ক্লাবঘর বা ভাড়া বাড়ি বা কারোও বাড়ির উঠোনে রয়েছে, সেগুলোকে এবার পড়ুয়া শূন্য স্কুলগুলোতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক। 

এর ফলে যেমন একদিকে শিশুদের পরিকাঠামগত উন্নয়ন হবে, তেমনই ভালো জলের ব্যবস্থা, শৌচালয়, রান্নাঘর সবকিছুই মিলবে। পাশাপাশি সরকারে সম্পদেরও যথেচ্ছ ব্যবহার হবে।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥