চিপস চুরি করেনি পাঁশকুড়ার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র, CCTV ফুটেজই করে দিল সাফ! ভাইরাল ভিডিও

Published:

Panskura
Follow

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: পাঁশকুড়ার (Panskura) গোসাইবেড় গ্রাম বর্তমানে শোকাচ্ছন্ন। একটি চিপসের প্যাকেট চুরির অপবাদে এক মায়ের কোল শূন্য হয়েছে। যদিও মিথ্যা চুরির অপবাদে এই ঘটনা। সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র কানাইয়ের (নাম পরিবর্তিত) মৃত্যুর ঘটনার পর অবশেষে প্রকাশ্যে এল ভাইরাল সিসিটিভি ফুটেজ, যা তার শেষ লেখা চিঠির সাথে একেবারে অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, নিজের খাতায় মৃত্যুর আগে শেষবার কানাই তার মাকে লিখে গিয়েছিল, ‘আমি কুড়কুড়েটা রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছিলাম, আমি চুরি করিনি মা।’ আর তখন হয়তো সে জানতও না, তার নির্দোষের প্রমাণ দেবে এক সিসিটিভি ফুটেজ।

সিসিটিভি ফুটেজই বলে দিল সবকিছু

প্রকাশ্যে আসা সেই সিসিটিভি ফুটেছে দেখা যাচ্ছে, কানাই তার সাইকেল নিয়ে দোকানে দাঁড়িয়েছে। এরপর দোকানদারকে না পেয়ে দোকানের বাইরে এসে মাটিতে পড়ে থাকা একটি চিপসের প্যাকেট তুলে নেয় সে। আর সেখানে কোনোরকম চুরির ইঙ্গিত নেই। ফলে শিশুটি যা লিখে গিয়েছিল তা যে সত্য, তার প্রমাণ হাতেনাতে পেল সবাই।

ঘটনাটি কী?

প্রসঙ্গত, ঘটনাটি রবিবারের। স্থানীয় সিভিক ভলেন্টিয়ার শুভঙ্কর দীক্ষিতের দোকানে কানাই নামের এক সপ্তম শ্রেণীর পড়ুয়া চিপস কিনতে গিয়েছিল। দোকানদার অনুপস্থিত থাকায় সে ফিরে আসে। তবে কিছুক্ষণ পর মোটরসাইকেলে করে এসে শুভঙ্কর তাকে ধরে ফেলে এবং বাজারের মাঝে চুরির অভিযোগে মারধর করে। এমনকি কান ধরে উঠবসও করানো হয়।

আর এই অপমান এবং অপবাদ সহ্য করতে না পেরে বিষ খেয়ে ফেলে কৃষ্ণেন্দু। তাকে তমলুক মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা সত্ত্বেও তার শেষ রক্ষা হয়নি। বৃহস্পতিবার ভোরবেলা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে এই খুদে শিশু।

আরও পড়ুনঃ পড়ুয়াশূন্য ৩৪৮টি সরকারি স্কুল, শুধু কলকাতায় ১১৯! বাধ্য হয়ে অঙ্গনওয়াড়ি তুলে আনা হচ্ছে

পলাতক দোকানদার

তবে এই ঘটনার পর থেকেই দোকানদার শুভঙ্কর পলাতক। তার বাড়িতে ক্ষুব্ধ জনতা হামলা চালাচ্ছে। শুভঙ্করের বাবা সূর্যকান্ত দীক্ষিত বলেছেন, অনেকে আমাদের বাড়িতে হামলা করছে। ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। দোকানে তালা দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমার ছেলে নির্দোষ। 

এমনকি দোকানদারের স্ত্রী নিশা দীক্ষিত বলেছেন, গতকাল ওই যুবকের দেহ আমাদের বাড়ির সামনে রেখেই হামলা চালানো হয়। আমার বাড়ির সন্তানরা আমাদের সাথেই ছিল। তারা ভয়ে আর্তনাদ করে। এমনকি 200 থেকে 250 জন হামলা করতে এসেছিল। আর প্রত্যেকের হাতেই বাস লাঠিসোটা ছিল। ওরা নাকি বলেছিল, এর এক বাচ্চাকে নিয়ে আয়। তাই আমরা বাচ্চাদের নিয়ে ভয়ে আছি।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join