বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: পাকিস্তানের বুকে একের পর এক আঘাত হেনেছে ভারতের ড্রোন! পাক বায়ুসেনার (Pakistan) একাধিক ঘাঁটি গুঁড়িয়ে ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছে ড্রোন দস্যু! মূলত মানববিহীন উড়ুক্কু যানের কাঁধে ভর করেই লাহোরের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা উড়িয়ে দিয়েছে ভারত।
শোনা যাচ্ছে, এবার প্রতিবেশীর সাথে পাল্লা দিতে ড্রোন তৈরিতে মরিয়া ইসলামাবাদ। সেই মতোই দিল্লির দীর্ঘদিনের বন্ধু প্রশান্ত মহাসাগরের ছোট্ট দ্বীপরাষ্ট্রকে প্রস্তাব দিয়েছিল পশ্চিম দিকের দেশ, তবে সূত্রের খবর, সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়দাতা পাকিস্তানের মুখের ওপর দরজা বন্ধ করেছে ভারত বন্ধু দ্বীপ রাষ্ট্রটি।
ইসলামাবাদকে সরাসরি না করল ভারত বন্ধু তাইওয়ান
বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে যা খবর, ভারতের তরফে পিটুনি খেয়ে এবার ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে পাকিস্তান। আর সেই সূত্রেই বিধ্বংসী ড্রোন নির্মাণের জন্য দক্ষিণ পাকিস্তানের বন্দর শহর করাচির একটি সংস্থা বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। জানা যায়, ভারতের সাথে কিছুটা হলেও পেরে উঠতে ড্রোন নির্মাণের কাজে গতি আনার লক্ষ্যে তাইওয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল পাকিস্তানের ওই সংস্থা। তবে যা জানা যাচ্ছে, ভারতকে ড্রোন সরবরাহকারী প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ রাষ্ট্রটি পাকিস্তানকে এ ব্যাপারে কোনও সাহায্য করতে পারবে না বলেই সাফ জানিয়ে দিয়েছে।
কেন পাকিস্তানকে না করল তাইওয়ান?
বেশ কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, উত্তর-পূর্ব তাইওয়ানের বন্দর শহর কিলুং সিটিতে গড়ে উঠেছে ড্রোনসভিশন সংস্থা। যার খ্যাতি বর্তমানে বিশ্বজোড়া। জানিয়ে রাখি, এই সংস্থাটি যে জনপ্রিয় পণ্য তৈরি করে তার নাম রিভলভার 860। এই আত্মঘাতী ড্রোন গত 3 বছর ধরে চলা রাশিয়ার সাথে যুদ্ধে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছিল ইউক্রেনীয় সেনা। জানা যায়, এই রিভলভার 860 ব্যবহার করেই রাশিয়ার একাধিক সেনা ঘাঁটি উড়িয়েছে ইউক্রেন।
সূত্রের খবর, তাইওয়ানের এই ড্রোনসভিশন সংস্থাটির সাথে কিছুদিন আগেই যোগাযোগ করেছিল করাচির অন্যতম বড় সংস্থা ইউনিভার্সাল স্মার্ট মিলিটারি সিস্টেমস। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, পাকিস্তানের তরফে প্রস্তাব পেতেই একেবারে সরাসরি না বলে দেয় তাইওয়ানের ওই সংস্থা। যার জেরে একেবারে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল পাক কোম্পানি ইউনিভার্সালকে। কিন্তু কেন? ঠিক কোন কারণে করাচির ওই সংস্থাকে সাহায্য করল না তাইওয়ান? বেশ কয়েকজন বিশ্লেষক মনে করছেন, চিনের প্রতি পাকিস্তানের আনুগত্য ও সখ্যতা বৃদ্ধিই তাইওয়ানের মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার কারণ।
নেপথ্যে রয়েছে ভারতের সাথে গভীর সম্পর্ক
বেশ কয়েকটি রিপোর্ট যা বলছে, দীর্ঘদিন ধরেই তাইওয়ানকে পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে মানতে নারাজ চিন। জিনপিংদের দাবি, এই দ্বীপ রাষ্ট্র চিনেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। এমন দাবি তুলেই বহুবার তাইওয়ানকে দখলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জিনপিং। জানা যায়, মূলত সামরিক মহড়ার নামে একাধিক রণতরী দিয়ে গোটা দ্বীপ রাষ্ট্রটিকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করেছিল চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি। আর তাতেই চিন থেকে সরতে সরতে দিল্লির সঙ্গে সখ্যতা বাড়িয়েছে তাইওয়ান।
অবশ্যই পড়ুন: কন্যাশ্রী কাপ ফাইনাল নিয়ে অশান্তি পাকাল ইস্টবেঙ্গল! আদৌ হবে ম্যাচ?
আর সেই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়েই এবার পাকিস্তানকে ফিরতি পথ দেখিয়েছে দ্বীপ রাষ্ট্রটি। বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ দাবি করছেন, ভারত-পাক সংঘাতে ইসলামাবাদকে খোলাখুলি সমর্থন করে চিন। আর সেই কথা মাথায় রেখেই ভারত বিরোধী পাকিস্তানকে মুখের ওপর না বলেছে তাইওয়ান। কেননা, তাইওয়ান জানে, আড়ালে পাকিস্তানকে সাহায্য করা মানেই একদিকে শত্রু চিনের শক্তি বৃদ্ধি করা, অন্যদিকে ভারতের মতো উপকারী বন্ধুকে চিরকালের জন্য হারানো। তাই সব দিক মাথায় রেখেই সন্ত্রাসবাদের দেশ পাকিস্তানকে দরজা থেকেই ফিরিয়েছে ভারত বন্ধু তথা প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ রাষ্ট্র তাইওয়ান।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |