সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: সম্প্রতি ইসলামাবাদে (Islamabad) আয়োজিত এক নৈশভোজকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জন্য গর্বের মুহূর্ত হিসেবেই ঘোষণা করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, সেই নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেছিল দেশের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ, আসিফ আলি জারদারি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশাক দার।
তবে সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে এক বিশেষ উপহার দেন। জানা যাচ্ছে, একটি ফ্রেমের উপর এক ছবিকে উপহার হিসাবে দিয়েছিলেন তিনি। আর সেটিকে পাকিস্তানের তথাকথিত অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস অভিযানের প্রতিচ্ছবি হিসাবে দাবি করা হয়। কিন্তু আসল ঘটনা যখন সামনে আসলো, ততক্ষনে তা হাস্যরসে পরিণত হয়েছে।
চিনের পুরনো ছবিকে অপারেশন বুনিয়ানের ছবি বলে দাবি?
যদিও ছবিটি প্রথমে পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয় পাক সেনার বীরত্বের প্রতীক হিসেবে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেটি ভাইরাল হওয়ার পর নেটিজেনরা ধরতে দেরি করেনি যে, ছবিটি আসলে চার বছর আগে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির এক সামরিক মহড়ার।
অনেকে তো টুইটারে তুলনা দেখিয়া মন্তব্য করছে, চিন থেকে ডাউনলোড করা পুরনো মিলিটারি ছবি উপহার দিয়ে পাকিস্তান সেনারা দাবি করছে, ভারত বিরোধী জয়ের চিহ্ন! কি হাস্যকর! What a joke!
আসিম মুনিরের পদোন্নতি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
তবে এই আলোচনার মধ্যেও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে আসিম মুনির। আসলে আসিম মুনিরের ফিল্ড মার্শাল পদে পদোন্নতি নিয়ে বিতর্কের দানা বাঁধছে। জানা যাচ্ছে, এই পদ সাধারণভাবে দেশের পক্ষ থেকে যুদ্ধ জয়ের পর সামরিক নেতাদেরকেই দেওয়া হয়।
তবে বাস্তবে অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাকিস্তানের ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে যেভাবে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল এবং পাকিস্তানের ঘাঁটিগুলিকে আঘাত করেছিল, তাতে আসিম মুনিরের এই বিশেষ পদোন্নতি কতটা যুক্তিসম্মত, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্নচিহ্ন।
আরও পড়ুনঃ একধাক্কায় DA বাড়ল ১১%! লটারি লাগলো রাজ্যের সরকারি কর্মীদের
পাকিস্তানের প্রচারে গলদ
এই ঘটনার জেরে আবারও পাকিস্তানের প্রচার-নির্ভর বিজয়গাথা প্রশ্নের মুখোমুখি পড়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা বলছে, নিজেদের সামরিক অভিযানের একটা আসল ছবি না থাকলে সেটা কীভাবে কোনও অভিযান হয়? যখন প্রচারের জন্য ভুয়ো ছবি দরকার পড়ে, তাহলে বুঝতে হবে কোনও কিছুতেই উন্নতি ঘটাতে পারেনি এই সন্ত্রাসের দেশ।