সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: অবসরের পর সবাই আর্থিক নিরাপত্তা চায়। তবে তার জন্য প্রয়োজন সঠিক বিনিয়োগ (Investment)। কারণ যাদের নিয়মিত আয় নেই, তাদের বিনিয়োগই একমাত্র ভরসার জায়গা। আর ঠিক সে কারণেই প্রবীণ নাগরিকদের জন্য পোস্ট অফিসের সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম হয়ে উঠেছে একেবারে সেরা বিকল্প।
কী এই স্কিম?
পোস্ট অফিসের পরিচালিত সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিম মূলত একটি ডিপোজিট স্কিম। জানা যাচ্ছে, এখানে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য টাকা রেখে নির্দিষ্ট হারে সুদ পাওয়া যায়। সবথেকে বড় ব্যাপার, এই স্কিমে বর্তমানে বছরে 8.2% হারে সুদ দেওয়া হয়, যা ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটের তুলনায় অনেকটাই বেশি।
কত টাকা বিনিয়োগ করা যাবে?
বেশ কয়েকটি সূত্র খতিয়ে জানা গেল, এই স্কিমে ন্যূনতম 1000 টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ 30 লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যাবে। তবে হ্যাঁ, এখানে বিনিয়োগের মেয়াদ 5 বছর, যা পরে আরও 3 বছর বাড়ানো যেতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আগের মেয়াদ শেষ হওয়ার 1 বছরের মধ্যেই আবেদন করতে হবে।
কত টাকা রিটার্ন পাওয়া যাবে?
যদি কেউ এই স্কিমে 30 লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে, তাহলে সে 5 বছরে মোট 12 লক্ষ 30 হাজার টাকা সুদ পাবে। হ্যাঁ, প্রতি তিন মাস অন্তর তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে 61,500 টাকা। আবার যদি কেউ 5 লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে পারে, তাহলেও সে 5 বছরে সুদ পাবে 6 লক্ষ 15 হাজার টাকা অর্থাৎ, মেয়াদ শেষে মোট পাওয়া যাবে 21 লক্ষ 15 হাজার টাকা।
আরও পড়ুনঃ ঝুটা জয় প্রমাণ করতে প্রধানমন্ত্রীকে ভুয়া ছবি উপহার! নাক কাটালেন পাকিস্তানের আর্মি চীফ
কারা বিনিয়োগ করতে পারবে?
জানা যাচ্ছে, এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে গেলে 60 বছর বয়স দরকার হয়। এমনকি ভারতীয় নাগরিক হতে হবে। পাশাপাশি সরকারি কর্মীরা যদি স্বেচ্ছায় অবসর নেন, অথবা ডিফেন্সের চাকরি থেকে অবসর নেন, তাহলে নির্দিষ্ট শর্তে বয়সের ছাড় পাওয়া যায়।
তবে সবথেকে বড় ব্যাপার, এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে আয়কর আইন 80C ধারা অনুযায়ী কর ছাড় পাওয়া যায়। অর্থাৎ, যেমন এই স্কিমে সুদের হার যেমন চড়া, তেমনই করেও সাশ্রয় মেলে।