সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: পারমাণবিক অস্ত্র মানেই যেন ধ্বংসযজ্ঞ! আর যখন সেই অস্ত্র কোনও সন্ত্রাসের দেশের (Pakistan) হাতে গিয়ে পড়ে, তখন যেন গোটা বিশ্বেরই টনক নড়ে যায়। হ্যাঁ, এমনই আশঙ্কাজনক এক তথ্যে উঠে এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স ইন্টালিজেন্স এজেন্সির সাম্প্রতিক রিপোর্টে। রিপোর্ট বলছে যে, চিন সরাসরি এবার পাকিস্তানকে সাহায্য করছে WMD অর্থাৎ, অস্ত্রসজ্জিত এক গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরি করতে। সবথেকে বড় ব্যাপার, তাদে নাকি মূল টার্গেট ভারত! মানে ভাবতে পারছেন?
বর্তমানে পাকিস্তানের অস্ত্রভান্ডার কতটা শক্তিশালী?
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির ডিরেক্টর সম্প্রতি এই রিপোর্ট পেশ করেছেন। রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে, পাকিস্তান মনে করছে ভারতে তাদের অস্তিত্বের হুমকি রয়েছে। আর সেই হুমকি ঠেকাতেই এবার পরমাণু অস্ত্রের পথ বাতলে নিচ্ছে সন্ত্রাসের দেশ।
সেই সূত্র ধরে এবার চিন থেকে নানা প্রযুক্তি এবং উপাদান এনে WMD তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। সূত্রের খবর, পাকিস্তানকে এই উপাদানগুলি সরবরাহ করছে চিন ছাড়াও হংকং, সিঙ্গাপুর, তুরস্ক এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মত দেশগুলি।
কী এই WMD বা গণবিধ্বংসী অস্ত্র?
বেশ কয়েকটি সূত্র মারফত পাওয়া যাচ্ছে, WMD এমন এক ধরনের অস্ত্র, যেটি একসঙ্গে লক্ষ লক্ষ মানুষের ধ্বংসযজ্ঞের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। জানা যাচ্ছে, এটি তিনভাবে কাজ করে। প্রথমত, এটি পারমাণবিক অস্ত্র হিসাবে কাজ করে, যেটি দিয়ে হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে বোমা ফেলা হয়েছিল। এমনকি মুহূর্তের মধ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু ঘটাতে পারে এই অস্ত্রটি।
দ্বিতীয়ত, রাসায়নিক অস্ত্র হিসাবেও এটি কাজ করতে পারে। যেমন এটি স্যারিন গ্যাস বা মাস্টার্ড গ্যাসের মত বিষাক্ত উপাদান নিমেষে বাতাসে মিশিয়ে দেয়, যা শ্বাসনালী থেকে শুরু করে গোটা শরীরকে ধ্বংস করে দেয়। এমনকি জৈব অস্ত্র হিসেবেও কাজ করে এটি, যা ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য সংক্রামক জীবাণু বাতাসে ছড়িয়ে দেয়।
আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশি মেয়েদের বিয়ে করার আগে সাবধান! সতর্কতা ঢাকার চিনা দূতাবাসের
পরিসংখ্যান কী বলছে?
স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রিপোর্ট বলছে, 2023 সালে ভারতের পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা 144 থেকে বেড়ে 180-তে পৌঁছেছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের কাছে এই সংখ্যা দাড়িয়েছে প্রায় 170 টিতে। অর্থাৎ, দুই দেশই পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডারে একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছে।
এদিকে ভারত ও পাকিস্তান কেউই পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার রোধে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি। অন্যদিকে দিন 1960 সাল থেকেই পাকিস্তানকে পারমাণবিক প্রযুক্তি দিয়ে সাহায্য করে আসছে। এমনকি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ ওয়্যারহেড ডিজাইন থেকে শুরু করে ডুয়াল ইউজ প্রযুক্তি, সবই দিয়েছে এই জিংপিং-এর দেশ। আর এই পরিস্থিতিতে আবারও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করা মানেই তা যে গোটা দেশের আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |