বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: আমেরিকার শুল্ক আরোপ নীতির প্যাঁচে পড়েছে ভারত বিরোধী চিন। ট্রাম্প-জিনপিংয়ের শুল্কযুদ্ধের আবহে বিশ্ব বাজারে লাভের মুখ দেখল ভারত। একাধিক রিপোর্ট মারফত খবর, বিশ্বজুড়ে ক্রমশ বাণিজ্য বাড়াচ্ছে ভারতের ওষুধ সংস্থাগুলি। জানা যাচ্ছে, বিশ্বের অন্যান্য বিদেশি সংস্থার সাথে হাত মিলিয়ে লাভের রাস্তা খুঁজে নিয়েছে একাধিক দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা (Indian Pharmaceutical)। আর এতেই কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়ল বেজিংয়ের।
বিশ্ববাজারে বিরাট দাপট ভারতীয় ওষুধ সংস্থাগুলির
সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, সিংজিং ইন্টারন্যাশনাল, সুভেন ফার্মাসিউটিক্যালস, ওরিজেন ফার্মাসিউটিক্যালস-এর মতো একাধিক ভারতীয় সংস্থাগুলি বিশ্ববাজারে ক্রমশ ব্যবসা বাড়াচ্ছে। জানা গিয়েছ, আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলিতে এইসব ওষুধ সংস্থাগুলির ব্যবসা আরও চওড়া হয়েছে। কয়েকটি সূত্র অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতীয় ওষুধ সংস্থা Drগুলির একমাত্র লক্ষ্য পশ্চিমের দেশগুলির ওপর থেকে চিনের নির্ভরতাকে কমানো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতীয় ওষুধ সংস্থাগুলি যেভাবে দিনের পর দিন ব্যবসা বাড়াচ্ছে তাতে, আগামী দিনে উন্নত বিশ্বের একাধিক দেশে আধিপত্য দেখাবে তারাই।
বিদেশি সংস্থার সাথে হাত মিলিয়েই সাফল্য
যা খবর, ভারতের অন্যতম ওষুধ সংস্থা সুভেন ফার্মাসিউটিক্যালস আমেরিকার এনজে বায়ো ইন কর্পোরেটেড নামক এক ওষুধ সংস্থার সাথে অংশীদারিত্ব করে তাদের বড় শেয়ার কিনেছে। জানিয়ে রাখি, একাধিক গবেষণার পাশাপাশি ক্যান্সার চিকিৎসার ওষুধ তৈরি করে এই সংস্থা। আর এই আমেরিকান কোম্পানিতেই 65 মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে ভারতের সুভেন।
জানা যাচ্ছে, শুধুই সুভেনই নয়, আমেরিকার বাল্টিমোরে অবস্থিত এমার্জেন্ট বায়ো সলিউশন নামক এক সংস্থা 35.5 মিলিয়ন ডলারে কিনে নিয়েছে ভারতের সিনজিং ইন্টারন্যাশনাল। বলা বাহুল্য, আমেরিকার এই সংস্থা মূলত প্রোটিনজাতীয় ও জিন সংক্রান্ত রোগের ওষুধ তৈরি করে। বেশ কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, এই দুই দেশীয় সংস্থা ছাড়াও ভারতের আরও বেশ কিছু ছোট বড় সংস্থা পশ্চিমের দেশগুলিতে বড় বড় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার সাথে হারে হাত মিলিয়ে কাজ করছে।
আপাতত যা খবর, ইতিমধ্যেই আমেরিকা ও ইউরোপে পাড়ি জমাতে শুরু করেছে ভারতীয় সংস্থাগুলি। জানা যাচ্ছে, ইউরোপও নাকি চাইছে শুল্কের ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে ভারতীয় সংস্থার সাথে কাজ করতে। বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, বিদেশে ভারতের ওষুধ সংস্থাগুলির এমন দাপট শুধুমাত্রই আমেরিকা ও চিনের শুল্ক যুদ্ধের কারণে সম্ভব হয়েছে। কাজেই বোঝা যাচ্ছে, বর্তমানে ওষুধের দুনিয়ায় চিনের অবস্থান কোথায়!
অবশ্যই পড়ুন: ফের অনেকটাই কমল সোনার দাম, রুপো নিয়েও বিরাট সুখবর! আজকের রেট
চিনের ওপর নির্ভরতা কমাতে তৎপর ইউরোপ ও আমেরিকা
সাম্প্রতিক সময়ে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ নীতির চাপে পড়ে একপ্রকার কোনঠাসা হয়ে গেছে চিন! যদিও আমেরিকার তরফ 30 দিনের জন্য শুল্ক আরোপে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছিল, তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে আমেরিকা ও চিনের দ্বিপাক্ষিক টানাপোড়ন ও সম্পর্কের অবনতির কারণে ইউরোপ ও আমেরিকার ওষুধ সংস্থাগুলি ভারতের প্রতি নির্ভরতা বাড়াচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |