ভারতের সঙ্গে বেইমানিতে না! ইরানে বেইজ্জত পাকিস্তান, মুখ পুড়ল শেহবাজের

Published on:

Pakistan

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: সম্প্রতি কাশ্মীরে ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বারবার সাহায্যের হাত পেতেছে কাঙালের দেশ (Pakistan)। মুসলিম দেশের জোট গড়ার নাম করে ভারতের সঙ্গে বিরোধিতা করার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। সেই সূত্র ধরে এবার ইরান সফরে গিয়েছিলেন তিনি। 

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

সেখানে তিনি দেখা করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ও সাম্প্রতিক প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে। তবে চমক দেওয়ার বিষয় হল – গাজা এবং প্যালেস্তাইন ইস্যুতে ইরান পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ালেও কাশ্মীর নিয়ে কোনও টু-শব্দ করেনি।

কাশ্মীর প্রসঙ্গে নীরব ইরান!

প্রসঙ্গত শেহবাজ শরিফের ইরান সফরের সময় আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি মুসলিম ঐক্যবদ্ধ সংগঠনকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্যালেস্তাইন ইস্যুতে, এমনকি গাজা ও ইসরাইলের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের কথাও তিনি বলেন। সেই সূত্র ধরে, পাকিস্তানের প্রত্যাশা ছিল, ইরান হয়তো তাদের পাশে দাঁড়াবে। এমনকি ভারতের বিরুদ্ধে মুখও খুলবে। তবে না, লাভের লাভ হল না। ইরানের সর্বোচ্চ নেতার বিবৃতিতে কাশ্মীর বা ভারতের নামটুকুও ছিল না।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

বন্ধুত্বের বার্তা দিল ইরান

প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগে ইরান এবং পাকিস্তানের সম্পর্কের আগুনে ঘি পড়েছিল। দুই দেশই একে ওপরের সীমান্ত পেরিয়ে সামরিক হামলা চালিয়েছিল। বিশেষ করে বালোচ জঙ্গিদের ঠেকাতে পাকিস্তানের হামলার পাল্টা জবাব দিয়েছিল ইরান। যদিও সেই সম্পর্ক এখন অনেকটাই স্বাভাবিকের দিকে গড়িয়েছে। তবে শেহবাজ শরিফকে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন যে, দুই দেশের সম্পর্ক আবারও তারা মজবুত করার দিকে এগোতে চান। 

আরও পড়ুনঃ ৪৪,২০৩ শূন্যপদে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে! নবান্ন থেকে বিরাট ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

ভারতের সম্পর্কে ইরানের অবস্থান

যেখানে ইরান এবং পাকিস্তান গাজা ইস্যুতে একসঙ্গে জোট বেঁধেছিল, সেখানে কাশ্মীরের মতো বিষয় নিয়ে ইরান পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াবে, এটাই ভেবেছিল সবাই। তবে ভারতের সঙ্গে দীর্ঘদিনের বাণিজ্যের সম্পর্ক, তেল রপ্তানির সহযোগিতা এবং চাবাহার বন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানির কথা মাথায় রেখে ভারতের বিরুদ্ধে মুখ খোলার দুঃসাহসটুকু দেখায়নি ইরান। 

তবে বেশ কিছু সূত্র বলছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছেন, কাশ্মীর, সন্ত্রাসবাদ, জল এবং বাণিজ্য ইস্যু নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসবে। তবে মোদি সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আলোচনা হবে একমাত্র সন্ত্রাসবাদ এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে। কোনও জলচুক্তি বা বাণিজ্য নিয়ে আমাদের পদক্ষেপ বদলানো হবে না।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
Join Group