বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারত-পাক সংঘাতের জের একদিকে তরতর করে কমেছে পাকিস্তান ও পাক সমর্থনকারী দেশগুলির অর্থনীতি, অন্যদিকে ইসলামাবাদের সাথে সংঘর্ষের পরও বিশ্ব বাজারে বিরাট নজির গড়েছে দিল্লি। সম্প্রতি, জাপানকে সরিয়ে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশে পরিণত হয়েছে ভারত।
সরকারি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক নীতি আয়োগের সিইও বলেছেন, আগামী 4 বছরের মধ্যে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ হবে। এদেশের এমন সাফল্যের মাঝে পাকিস্তানের সাথে সংঘর্ষকালীন সময়ে ভারতের বিরোধিতা করা তুরস্কের অর্থনীতি একপ্রকার প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে।
ভারত বনাম তুরস্কের GDP (India Vs Turkey GDP)
উন্নত বিশ্বের কাছে ভারত এখন বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় জায়গা। সাম্প্রতিক সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ নীতির প্যাঁচে পড়ে ড্রাগনের দেশ চিন থেকে ক্রমশ সরে আসছে বিভিন্ন প্রযুক্তিক বা ইলেকট্রনিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি। সবচেয়ে বড় উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, সাম্প্রতিক সময় আমেরিকার শুল্ক আরোপ নীতি নিয়ে চাপে থাকা চিন থেকে প্রায় মুখ ফিরিয়ে ভারতে ক্রমশ বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছে টিম কুক সংস্থা অ্যাপেল।
আমেরিকান প্রেসিডেন্টের বিরোধিতা সত্ত্বেও, বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে ভারতে ক্রমশ ব্যবসা বাড়িয়ে চলেছে আইফোন প্রস্তুতকারক সংস্থাটি। এদিকে বিশ্ব বাজারে ভারতীয় সংস্থাগুলির দাপট ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সব মিলিয়ে শেয়ার বাজার সহ অন্যান্য সার্বিক অর্থনৈতিক দিক থেকে বর্তমানে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম দেশ হয়ে উঠেছে ভারত।
সম্প্রতি প্রকাশিত বেশ কয়েকটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বর্তমান আর্থিক বছরে ভারতের GDP বৃদ্ধির হার 6.3 শতাংশ হতে চলেছে। তবে একাধিক প্রতিবেদন দাবি করছে, চতুর্থ ত্রৈমাসিকের মধ্যে ভারতের GDP 6.8 শতাংশ হতে পারে। সেই সূত্রেই বলে রাখি, বর্তমানে ভারতের মোট GDP 4.19 ট্রিলিয়নেরও বেশি। অন্যদিকে, মুদ্রাস্ফীতির চাপে ধুঁকতে থাকা তুরস্কের বর্তমান GDP 1.255 ট্রিলিয়নেরও বেশি ( 2023 সালের হিসেব)। কাজেই বলা যায়, তুর্কির বর্তমান GDP ভারতের অর্ধেকের থেকেও কম।
অবশ্যই পড়ুন: বাংলাদেশের রাজপথে বাড়ছে আন্দোলন! সরকারি কর্মীদের ভয়ঙ্কর রোষের মুখে ইউনূস! ছাড়তে হবে গদি?
উল্লেখ্য, পাকিস্তানকে সমর্থন করে ভারতীয় পর্যটকদের রোষের মুখে পড়েছে তুরস্ক। বিগত কয়েক সপ্তাহে ভারতীয়রা মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় বাতিল হয়েছে একাধিক ফ্লাইট ও হোটেল বুকিং। যার জেরে বিরাট ধাক্কা খেয়েছে তুর্কি বিমান সংস্থার শেয়ার। একই সাথে, দেশজুড়ে তুর্কি বয়কটের আবহে এক প্রকার মুখ থুবড়ে পড়ার পথে ও দেশের অর্থনীতি। তাছাড়াও দিনের পর দিন যেভাবে তুর্কিতে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে, তাতে আগামী দিনে রিচেপ এরদোয়ানের দেশের অবস্থা শোচনীয় হওয়া শুধুই সময়ের অপেক্ষা।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |