ঘণ্টায় ৩২০ কিমি গতি! ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেনের ট্রায়াল রান হল জাপানে

Published:

Bullet Train
Follow

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: মুম্বাই থেকে আমেদাবাদ মাত্র 3 ঘন্টায়! হ্যাঁ, যা একসময় স্বপ্ন ছিল, তা এবার বাস্তবে পরিণত হতে চলেছে। সূত্রের খবর, এটি ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন (Bullet Train) প্রকল্পের হাত ধরেই বাস্তবায়নের পথে। আর এবার তার অংশ হিসেবে জাপানে শুরু হয়ে গেল সেই সুপারফাস্ট ট্রেনের ট্রায়াল রান। বেশ কয়েকটি সূত্র দাবি করছে, বিশ্বের অন্যতম সুপারফাস্ট ট্রেন শিনকানসেন এখন ভারতের জন্য তৈরি হচ্ছে। আর পরীক্ষামূলকভাবে জাপানের সেন্দাই শহরে সেগুলিকে চালানো হচ্ছে।

ভারতকে বিরাট উপহার জাপানের

জানিয়ে রাখি, এই বুলেট ট্রেন প্রকল্পের জন্য ভারতের সঙ্গে জাপান একটি বিশেষ চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে। ভারতকে উপহার হিসেবে দেওয়া হচ্ছে জোড়া শিনকানসেন ট্রেন, যার একটির মডেল E3 এবং অন্যটি E5। আর এই ট্রেনগুলি ভারতের পরিকাঠামো অনুযায়ীই তৈরি করা হচ্ছে, যাতে ধুলো, গরম ও উচ্চগতিতে নিরাপদে চলাচল করতে পারে। জানা যাচ্ছে, বর্তমানে ট্রেনদুটির জোরকদমের ট্রায়াল রান চলছে।

2026 এই আসবে ভারতের মাটিতে?

বেশ কয়েকটি সূত্র দাবি করছে, পরীক্ষা এবং পরিদর্শনের পর এই ট্রেন সেটগুলি নিইগাতা বন্দর দিয়ে ভারতে পাঠানো হবে। আর সবকিছু যদি ঠিকঠাক থাকে, তাহলে 2026 সালের শুরুতেই ভারতে এসে পৌঁছাবে এই দুটি শিনকানসেন ট্রেন। 

জানা যাচ্ছে, এই ট্রেনদুটি প্রথম যাত্রা শুরু করবে গুজরাটের সুরাট থেকে বিলিমোরা পর্যন্ত। মোট 50 কিলোমিটার পথের উপর দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল শুরু হবে জোড়া ট্রেনের। আর তারপরে ধাপে ধাপে বাড়ানো হবে ট্রায়াল রুট এবং পরিকাঠামো।

তৈরি হচ্ছে আহমেদাবাদ-মুম্বাই করিডর

এই বিরাট প্রকল্পের আওতায় দেশের প্রথম হাই-স্পিড রেল করিডর আহমেদাবাদ থেকে মুম্বাই পর্যন্ত মোট 508 কিলোমিটার রুটের কাজ ইতিমধ্যেই গতি পেয়েছে। আর এর মধ্যে 348 কিলোমিটার পড়ছে গুজরাটের মধ্যে এবং 156 কিলোমিটার মহারাষ্ট্রে। 

সূত্র বলছে, এই করিডরে 21 কিলোমিটার থাকবে ভূগর্ভে, 7 কিলোমিটার যাবে সমুদ্রের নিচ দিয়ে এবং 5 কিলোমিটার যাবে পাহাড়ের ভিতর দিয়ে। জানা যাচ্ছে, এই করিডরে সর্বোচ্চ 320 কিলোমিটার প্রতি ঘন্টাতে ট্রেন দৌড়বে। আর গোটা পথ অতিক্রম করতে মাত্র 2 ঘন্টা 58 মিনিট সময় নেবে।

আরও পড়ুনঃ দু’দিনেই ভয়াবহ অবস্থা! ভারতের কারণে শুকিয়ে কাঠ, চন্দ্রভাগার জল নিয়ে কান্নাকাটি পাকিস্তানের

স্টেশন থাকবে বিরাট সুযোগ-সুবিধা

শুধু ট্রেনে নয়, বরং প্রতিটি স্টেশনেও থাকছে আন্তর্জাতিক মানের পরিকাঠামো। জানা যাচ্ছে, স্টেশনে পর্যাপ্ত বসার জায়গা, আধুনিক হাই কোয়ালিটির টয়লেট, নার্সারি ও লাগেজ লকার, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন যাত্রীদের জন্য হুইলচেয়ার, আলাদা শৌচাগার, ফার্স্ট ক্লাস যাত্রীদের জন্য আলাদা বিজনেস লাউঞ্জ থাকবে।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join