সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ওপার বাংলার (Bangladesh) রাজনীতিতে এমনিতেই টালমাটাল অবস্থা। নির্বাচনকে ঘিরে এমনিতেই হাওয়া গরম। সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়েও চলছে জোর জল্পনা। আর ঠিক সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে আরও এক চাঞ্চল্যকর খবর। শোনা যাচ্ছে, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে নাকি সরিয়ে দিচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস।
শুধু তাই নয়, গুঞ্জন উঠছে যে, ইউনূস নাকি নিজের পছন্দের লোককে সেনাবাহিনীর প্রধান পদে বসানোর ছক কষে ফেলেছেন। তবে আসল সত্যটা কী? সত্যিই কি সেনাপ্রধানকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে? নাকি সবই রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য গুজব ছড়ানোর চেষ্টা? চলুন জেনে নিই আজকের প্রতিবেদনে।
কীভাবে ছড়ালো এই খবর?
সোশ্যাল মিডিয়ায় হঠাৎ করে একটি পোস্ট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আর সেখানে দাবি করা হচ্ছে যে, জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে সেনাপ্রধান পদ থেকে চুপিসারে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর কিছু কিছু পোস্টে বলা হচ্ছে যে, ইউনূস নাকি আগেভাগে নিজের ঘনিষ্ঠ কোনও সেনা কর্মকর্তাকে ওই পদে বসাতে চাইছেন।
আর এই খবরকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন যে, ওয়াকার-উজ-জামান যেহেতু স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন দরকার, তাই হয়তো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাকে সরিয়ে দেওয়ার ফন্দি আঁটছে।
আরও পড়ুনঃ মাত্র ১ লক্ষ টাকা রেখে ২৭ লক্ষ রিটার্ন! বিনিয়োগের সেরা ঠিকানা এটিই
আসল সত্যিটা কী?
আসলে এটি সম্পূর্ণ গুজব। বাংলাদেশের তথ্য যাচাইকারী সংস্থা তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে, যে খবর ছড়িয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। হ্যাঁ, তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেনাপ্রধান বদলের বিষয়ে কোনোরকম সরকারি ঘোষণা নেই। আর যে ওয়েবসাইটে খবরটি ভাইরাল হয়েছে, তার বিশ্বাসযোগ্যতাও খুবই কম। এমনকি জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান সম্প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানেও উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ওয়াকার এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হওয়া উচিত বলে জোর দাবি তুলেছেন। আর এতে করে গুজবের আগুনে যেন আরো ঘি পড়েছে। কারণ সরকার এবং সেনার মধ্যে টানাপোড়েন চলাটা স্বাভাবিক। তার জন্যই হয়তো এই ভিত্তিহীন গুজবকে সবাই সত্যি বলে মনে করছে।