বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হওয়া সত্বেও ফুলবাগান মেট্রো স্টেশনটিকে (Phool Bagan Metro Station) নিয়ে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে নিত্যযাত্রীদের। আজ থেকে প্রায় 5 বছর আগে চালু হওয়া এই স্টেশনে মাত্র দুই গেট দিয়েই যাতায়াত করতে হয় যাত্রীদের। পাশেই বি সি রায় শিশু হাসপাতাল থাকা সত্ত্বেও হাসপাতালের উল্টো দিকের এ গেটটি বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু কেন?
যা জানা যাচ্ছে, মূলত অজ্ঞাত কারণেই ফুলবাগান মেট্রো স্টেশনের একটি গেট বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যার জেরে শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের যথেষ্ট ভোগান্তি পোহাতে হয়। যদিও রোগীদের সুবিধার্থে ওই গেটে লিফট বসানো হয়েছিল ঠিকই, তবে মেট্রো চালুর কিছু মাস গেট খোলা থাকলেও পরবর্তীতে হঠাৎই কোনও রকম কারণ না দেখিয়েই বন্ধ করে দেওয়া হয় স্টেশনের ওই গেটটি।
কোটি টাকা ব্যয় করে বানানো হয়েছিল লিফট
ফুলবাগান মেট্রোর বেশ কয়েকজন নিত্যযাত্রী জানিয়েছেন, মেট্রো স্টেশনের এ গেট থেকে বেরোলেই ছিল অটোস্ট্যান্ড। উল্টোদিকেই পড়ে বিধান চন্দ্র রায় শিশু হাসপাতাল। ফলে এ গেট দিয়ে বেরোলেই সবচেয়ে বেশি সুবিধা হতো। কিন্তু ওই গেট এখন আর খোলা হয় না। জানা যায়, কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে ফুলবাগান মেট্রো স্টেশনের ওই গেটে তৈরি হয়েছিল সিঁড়ি ও লিফট। অথচ যাদের সুবিধার্থে বিপুল অর্থ খরচ করে গেট, চলমান সিঁড়ির ব্যবস্থা করা হল এখন তাঁরাই এইসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
কেন বন্ধ করা হল গেটটি?
ফুলবাগান মেট্রো স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে ওপরে উঠলেই টিকিট কাউন্টারের পাশ দিয়ে যাওয়া যেত এ গেটের দিকে। তবে সেই রাস্তায় এখন লেখা রয়েছে নো এক্সিট। কিন্তু কেন বন্ধ হয়ে গেল ওই কোটি টাকার প্রস্থান পথ? বেশ কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ফুলবাগান মেট্রো স্টেশনের এ গেটটি ঠিক কোন কারণে বন্ধ করা হয়েছে সে বিষয়ে কোনও স্পষ্ট তথ্য দেয়নি মেট্রো কর্তৃপক্ষ। যদিও স্টেশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওপর মহল থেকে নির্দেশ রয়েছে! তাই বন্ধ ওই গেট। চলছে না লিফটও।
ফুলবাগান মেট্রোর এ গেট বন্ধ করা নিয়ে কেউ কেউ আবার মনে করছেন, ওই গেট খোলা রাখলে রেল পুলিশ থেকে গেটে দাঁড়ানোর জন্য অন্তত 4 জন সিকিউরিটি কর্মী দরকার। তবে বর্তমানে কর্তৃপক্ষ যেভাবে কর্মী সংকোচন করছে, তাতে নতুন করে কর্মী নিয়োগ করার বিলাসিতা দেখাবে না তারা। তাই স্বাভাবিক কারণেই আর গেট খুলছে না। তাছাড়াও বেশ কয়েকজন যাত্রীর দাবি, ওই গেটে যে লিফট রয়েছে তা মূলত রিমোট দিয়ে চালু এবং বন্ধ করা যেত। তবে জানা যায়, কোনও কারণবশত নাকি সেটি আর কাজ করছে না। তাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে গোটা গেট।
অবশ্যই পড়ুন: সভাপতি পদ থেকে সরছেন রজার বিনি, কে হচ্ছেন BCCI-র নতুন প্রধান? ঠিক হল নাম
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে মেট্রোর একটি গেট বন্ধ থাকায় যথেষ্ট সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। আসলে কোনও যাত্রী যদি হুইল চেয়ার নিয়ে স্টেশনে আসেন সে ক্ষেত্রে তাঁর বেরানোর কোনও পথ নেই। এ প্রসঙ্গে মেট্রোর এক কর্মকর্তা নাকি জানিয়েছেন, যাত্রীদের বেরোনোর জন্য তিনটি গেট খুলে রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। তাই একটি গেট বন্ধ রাখা হয়েছে।