প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ভয়ঙ্কর অবস্থা উত্তরবঙ্গে! প্রবল বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত উত্তর সিকিম (North Sikkim) ও কালিম্পংয়ের একাংশ। এদিকে প্রবল বৃষ্টি এবং ধসের কারণে মাঝ রাস্তায় আটকে গিয়েছে একাধিক পর্যটক। সেই কারণে গতকাল থেকে উদ্ধারকাজে নামার কথা ছিল প্রশাসনের। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়া ও তিস্তার জলস্তর অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় পর্যটকদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। আর এই আবহে এবার পরপর ২ দিন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন।
বন্ধ থাকছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক!
মেঘভাঙা বৃষ্টি চলছে উত্তর সিকিমে। তার জেরে তিস্তার জলস্তর ক্রমেই বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। সঙ্গে নেমেছে ধস। এর ফলে সেখানকার বহু এলাকা বাকি ভূখণ্ডের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয় তিস্তার জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ফিডাং বেইলি সেতুর ক্ষয়ক্ষতি যেন বেড়েই চলেছে। তাই সেই সেতুটি গতকাল বন্ধ রেখে শুরু করা হয়েছে সংস্কারের কাজ। কিন্তু কাজের চাপ বেশি থাকায় সংস্কারের কাজ শেষ করতে অনেক সময় লেগে যাচ্ছে। এই আবহে সোম এবং মঙ্গলবার বন্ধ থাকছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। সকাল আটটা থেকে সবরকম যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ!
প্রাপ্ত রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে লাচেন, লাচুংয়ে সব মিলিয়ে প্রায় ১৫০০-রও বেশি পর্যটক দু’দিন ধরে আটকে রয়েছে উত্তর সিকিমে। সেখানকার পুলিশ সুপার সোনম ডেটচু জানিয়েছেন, রবিবার বৃষ্টি এবং ধসের কারণে সেখান থেকে কোনও পর্যটককেই উদ্ধার করা যায়নি। ফলস্বরূপ আরকে রয়েছেন তাঁরা। এদিকে অনেক আগেই সিকিম সরকারের পক্ষ থেকে আগেই তাঁদের হোটেল এবং হোমস্টেতে থেকে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঊর্ধ্বমুখী হয়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা! একদিনেই রাজ্যে সংক্রমিত ৪৪ জন
প্রশাসনের দেওয়া রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে প্রবল বৃষ্টির জেরে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের পাশাপাশি আশেপাশের গ্রামগুলিতেও বিপদের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সেই কারণে চটজলদি স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রশাসন থেকে সর্বসাধারণকে সতর্ক থাকতে এবং নদীর ধারে যেতে বারণ করা হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসনের পাশাপাশি জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী প্রস্তুত করা রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা সিকিমের গ্যাংটক, নামচি, সোরেং, প্যাকিয়ং, গিয়ালসিংয়ে বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।