সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: চুপিসারে নেওয়া এক সিদ্ধান্তের জেরেই ভারতের গাড়ির বাজার (Indian Car Manufacturers) মুখ থুবড়ে পড়েছে। হ্যাঁ, বিশ্বের 90% শক্তিশালী বিরল চুম্বকের যোগানদাতা চিন এবার এমন এক সিদ্ধান্তের পথে হেঁটেছে, যা ভারতের বৈদ্যুতিক এবং যানবাহন শিল্পে বিরাট ফাটল ধরানোর সম্ভাবনা তৈরি করেছে।
নিওডিয়ামিয়াম-আয়রন-বোরন (NdFeB) নামের একটি চুম্বক, যা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, গাড়ির মোটর থেকে শুরু করে, স্টিয়ারিং, ব্রেক এমনকি অডিও সিস্টেমও এর উপরেই নির্ভরশীল। আর এই চুম্বকের এতটাই শক্তি যে, বছরের পর বছর ধরেও তা নষ্ট হয় না। আর এবার সেই চুম্বকের সরবরাহেই লাগাম টেনেছে জিনপিং সরকার।
রপ্তানির আগে অনুমোদন বাধ্যতামূলক
চিন সরকারের নয়া নিয়ম অনুযায়ী, এখন থেকে এই চুম্বক রপ্তানির আগে সরকারের লাইসেন্স এবং ব্যবহারের বিশদ সার্টিফিকেট প্রয়োজন পড়বে। হ্যাঁ, এর ফলে সাপ্লাই চেইন একেবারে হোঁচট খেয়েছে বল চলে। সূত্রের খবর, ভারত থেকে অর্ডার দেওয়া চুম্বক ইতোমধ্যেই চিনের বন্দরে আটকে পড়ে রয়েছে। অথচ ইউরোপীয় কিছু সংস্থা একই সময়ে অর্ডার পেয়ে যাচ্ছে। আর এতেই ভারতের গাড়ি নির্মাতা সংস্থাগুলি বড়সড় বিপদের মুখে পড়েছে।
মুখ থুবড়ে পড়েছে গাড়ি নির্মাতা সংস্থাগুলি
ভারতের গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির কাছে এই চুম্বক এখন যতটা পরিমাণে রয়েছে, তা দিয়ে জুনের শুরু পর্যন্ত উৎপাদন চালানো যাবে। আর তারপর কি হবে, তা নিয়ে চলছে সংশয়। কারণ, এই চুম্বক ছাড়া গাড়ি তৈরি কার্যত অসম্ভব।
প্রসঙ্গত, এই চুম্বক শুধুমাত্র বৈদ্যুতিক গাড়িতে নয়, বরং হাইব্রিড বা প্রচলিত গাড়িতেও কাজে লাগে। আর বায়ুকল থেকে শুরু করে ওয়াইপার, অডিও সিস্টেম, সবকিছুতেই এই চুম্বকের ব্যবহার একেবারে অপরিহার্য।
প্রস্তুতি চলছে আলোচনায় যাওয়ার
তবে এই সংকটের মুখে পড়ে ইতিমধ্যেই ভারতের গাড়ি নির্মাতা সংস্থাগুলি সমাধানের উপায় খুঁজছে। SIAM এবং ACMA, দুটি সংগঠনের প্রতিনিধি দল ইতিমধ্যেই চিনে যাওয়ার তোরজোড় শুরু করেছে, যাতে তারা সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে পায়। আর ভারত সরকারও বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে বলে বেশ কয়েকটি সূত্র দাবি করছে।
জানিয়ে রাখি, গত অর্থবছরে ভারত চিন থেকে প্রায় 460 টন শক্তিশালী চুম্বক আমদানি করেছিল। আর এই মুহূর্তে ভারতের সেরকম কোনও বিকল্প যোগানদাতাও নেই। সবথেকে বড় ব্যাপার, চুম্বক সরবরাহে বিলম্ব হলে গাড়ি উৎপাদনের অ্যাসেম্বলি লাইন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এখন দেখার, ভারতের গাড়ি শিল্প কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় এবং চিন তাদের মনোভাব বদলায় কিনা।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |