সহেলি মিত্র, কলকাতা: শিয়ালদা বিভাগের (Sealdah Railway Division) যাত্রীদের জন্য রইল এক দুর্দান্ত সুখবর অবশেষে রেলের তরফে এমন এক সিদ্ধান্ত নেওয়া হল যার দরুন নতুন করে লাভবান হবেন সকলে। মূলত রাজনৈতিক কারণ থেকে শুরু করে সাধারণ রেল যাত্রীদের দাবির জেরে নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটতে বাধ্য হল রেল। এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে রেলের তরফ থেকে কী এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে? তাহলে জানিয়ে রাখি, অবশেষে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ-লালগোলা শাখায় বেশিরভাগ ট্রেন থেকে শৌচাগার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে আপাতত পিছিয়ে এল ভারতীয় রেল।
বড় সিদ্ধান্ত নিল রেল
জানা গিয়েছে, আগামী ৪ জুন থেকে শিয়ালদহ এবং লালগোলার মধ্যে পরিচালিত নয়টি মেমু পরিষেবা দুটি পৃথক বিভাগে বিভক্ত করা হবে বলে পূর্ব রেলওয়ে ঘোষণা করেছে। ট্রেনগুলি এখন শিয়ালদহ বা কলকাতা থেকে কৃষ্ণনগর এবং তারপর কৃষ্ণনগর থেকে লালগোলা এবং এর বিপরীতে চলবে। সূত্রের খবর , দীর্ঘ যাত্রার সময় অস্বস্তির বিষয়ে যাত্রীদের একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মেমু রেকের ঘাটতির কারণে মেমু পরিষেবাগুলি ইএমইউ রেক দিয়ে পরিচালিত হচ্ছিল।
এই ইএমইউ রেকগুলিতে সাধারণত মেমু ট্রেনগুলিতে পাওয়া প্রয়োজনীয় সুবিধা, যেমন টয়লেট ছিল না, আরও অনেক অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছিল। বিশেষ করে বয়স্ক এবং মহিলা যাত্রীদের জন্য এই সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছিল। ভুরি ভুরি অভিযোগ জমা পড়ছিল রেলের কাছে।
রেগে কাঁই যাত্রীরা
আগে পূর্ব রেল বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল ওই ট্রেনের যাত্রীদের প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য কৃষ্ণনগর স্টেশনে একাধিক ইএমইউ ট্রেনকে ১৯-৩২ মিনিট পর্যন্ত দাঁড় করানো হবে। রেল বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল, আগামী ৪ জুন থেকে নতুন এই ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে। তবে এই ঘটনা পর থেকে ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেন রেল যাত্রীরা।
বহরমপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী রেলমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান।মুর্শিদাবাদের একাধিক রেলওয়ে যাত্রী সংগঠন জানিয়েছিল, ৪ জুন থেকে শিয়ালদহ-লালগোলা শাখায় ট্রেনগুলিতে শৌচাগার না থাকলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। যদি অবশেষে নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসলো রেল।