বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ইউনূসের হাত ধরে বাংলাদেশে (Bangladesh) চলছে উল্টো রাজনীতি! নিজের ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া শান্তিতে নোবেলজয়ী ভোট আশঙ্কার মাঝে এবার নিলেন বিরাট পদক্ষেপ। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দেশের মূল ক্ষেত্র থেকেই এবার পিছিয়ে এল ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম যা জানাচ্ছে, 2025-26 আর্থিক বছরে যে বাজেট ইতিমধ্যেই পেশ করা হয়েছে, তাতে নাকি দেশের প্রতিরক্ষা খাতের বরাদ্দ কমেছে অনেকটাই।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দুর্বল করতে চান ইউনূস!
একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, 2025-26 আর্থিক বছরের প্রস্তাবিত যে বাজেট ইতিমধ্যেই পেশ করা হয়েছে তাতে নাকি বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাতে এক ধাক্কায় অনেকটাই বরাদ্দ কমিয়েছে ইউনূস সরকার। জানা যায়, গত আর্থিক বছরে যেখানে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বরাদ্দ করা হয়েছিল 42,014 কোটি টাকা, সেই তুলনায় চলতি আর্থিক বছরে ওপার বাংলার প্রতিরক্ষা খাত পেল 40,698 কোটির বরাদ্দ। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় অন্তত 1,316 কোটি টাকা কম বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। আর এমন পদক্ষেপের পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে দুর্বল করতে চান ইউনূস?
বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বিরোধী দল গুলির ভোট আয়োজনের প্রস্তাবে একপ্রকার কোণঠাসা অবস্থা ইউনূসের। এমতাবস্থায়, প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ কমিয়ে সামরিক অভ্যু্থানের জল্পনা বাড়িয়ে দিলেন ওপার বাংলার উপদেষ্টা। অনেকেই বলছেন, ইউনূস আসলে আতঙ্কিত হয়েই বাংলাদেশের তিন বাহিনীকে আরও দুর্বল করে দিতে চাইছেন! তবে ঠিক কী কারণে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ কমল, সে বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
সেনাপ্রধানের সাথে মতের অমিল
বিগত কয়েক মাসে নির্বাচনের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ! মূলত খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি যত দ্রুত সম্ভব গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের চাপ দিচ্ছে। এহেন আবহে বিরোধীদের ভোট গ্রহণের দাবিতে একপ্রকার চিরেচ্যাপটা অবস্থা হয়েছে শান্তিতে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদদের! শোনা যাচ্ছে, নির্বাচন হলেই ক্ষমতা থেকে সরে যাবেন ইউনূস, এইসব কথা ভেবেই নতুন করে আর বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়াননি তিনি।
তাছাড়াও, বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানের সাথে একাধিক ক্ষেত্রে মতের অমিল খুঁজে পাওয়া গিয়েছে ইউনূসের। ওপার বাংলার সেনাপ্রধান চান, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা হোক। সেজন্য প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে জোরালো সাওয়াল করেছিলেন তিনি। তবে সূত্রের খবর, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা নাকি দাবি করেছেন 2026 সালের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা হবে।
অবশ্যই পড়ুন: আজীবন পাবেন ১,৪২,৫০০ করে টাকা, মাত্র একবার বিনিয়োগ করুন LIC-র এই স্কিমে
শিক্ষা ক্ষেত্রেও কমেছে বরাদ্দ
বাংলাদেশের বেশকিছু প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, শুধুমাত্র প্রতিরক্ষা খাতে নয়, প্রাথমিক শিক্ষা, বিদ্যুৎ সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রেও বরাদ্দের অঙ্ক অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে বরাদ্দ কমিয়ে মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা শিক্ষায় বরাদ্দের অঙ্ক বাড়ানোর পথে পা বাড়িয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। অন্যদিকে বাংলাদেশে যেখানে বারবার বিদ্যুতের সঙ্কট নিয়ে অভিযোগ উঠে আসে, সেই পর্বে দাঁড়িয়েই নাকি ওপার বাংলার বিদ্যুৎ খাতে 9000 কোটি টাকার বরাদ্দে কাটছাঁট করেছে ওপার বাংলার শাসক।