সৌভিক মুখার্জী, কলকাটা: কাশ্মীর উপত্যকায় সেই ভয়াবহ রক্তলীলা আজও সবার হৃদয়ে গাঁথা রয়েছে। তবে এবার যুদ্ধটা সীমান্ত সীমাবদ্ধ থাকেনি, বরং প্রশাসনের ভিতর চলছে যুদ্ধ! হ্যাঁ, সরকারি চাকরি করে জঙ্গিদের সাহায্য করছে জন্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের তিন কর্মী (Government Employees)। ভাবতে পারছেন? ইতিমধ্যেই তাদেরকে বরখাস্ত করেছে লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা। এমনকি গ্রেফতারও করা হয়েছে তাদের।
আর এই ঘটনার খবর সামনে আসতেই গোটা উপত্যকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। আবার তার ওপর আগামী 6 জুন কাশ্মীর সফরে যাচ্ছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার সফরের ঠিক আগেই এরকম ঘটনা সরকারকে যেন আরও সতর্কের ইঙ্গিত দিল।
কাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ?
এখনো পর্যন্ত বেশ কয়েকটি সূত্র ওই তিনজন সরকারি কর্মীর পরিচয় সামনে এনেছে। প্রথমজন হলেন, মালিক ইশফাক নাসির, যিনি 2017 সাল থেকে জন্মু ও কাশ্মীর পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। দ্বিতীয়জন হচ্ছে আজাজ আহমেদ, যিনি পুঞ্চ জেলার স্কুল শিক্ষা দপ্তরের শিক্ষক এবং তৃতীয়জন হলেন ওয়াসিম আহমেদ খান, যিনি শ্রীনগরের সরকারি মেডিকেল কলেজের জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে কর্মরত ছিলেন।
হ্যাঁ, প্রথমজনের বিরুদ্ধে লস্কর-ই-তৈবার (LET) সঙ্গে সংযুক্ত থাকার অভিযোগ সামনে এসেছে। আর দ্বিতীয়জনের বিরুদ্ধে হিজবুল মুজাহিদ্দিনকে অস্ত্র এবং মাদক পাচারে সহায়তার অভিযোগ এসেছে এবং তৃতীয়জনের কাছে সন্দেহজন লিঙ্ক থাকার অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মালিক ইশফাক নাসিরের ভাই মালিক আসিফ ছিলেন পাকিস্তানের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লস্কর-ই-তৈবার সদস্য যিনি, 2018 সালে এনকাউন্টারে নিহত হয়েছিলেন। এমনকি ২০২১ সালে একটি অস্ত্র চোরাচালান মামলার তদন্তে ইশফাক নাসিরের নাম জঙ্গি সংগঠনের তালিকায় উঠে আসে।
অন্যদিকে শিক্ষক আজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে 2023 সালের নভেম্বর মাসে একটি তল্লাশি অভিযানে অস্ত্র এবং মাদক উদ্ধারের অভিযোগ উঠেছিল। আর গ্রেফতারের পর তার সঙ্গে জঙ্গি যোগাযোগ স্পষ্ট হয়। জানিয়ে রাখি, ওয়াসিম আহমেদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই নজরদারি চালাচ্ছিল পুলিশ। অবশেষে তার বিরুদ্ধে প্রমাণ মিলতেই বরখাস্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সোনার দরে ফের আগুন, ধরাছোঁয়ার বাইরে এগোচ্ছে রুপোও! আজকের রেট
প্রধানমন্ত্রী সফরের আগে কড়া বার্তা
প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, সন্ত্রাসকে নির্মূল করতে সম্প্রতি কেন্দ্র সরকার বিরাট পদক্ষেপ নিয়েছে। হ্যাঁ, পহেলাগাঁও জঙ্গি হামলার পর থেকে প্রশাসন আরো তৎপর হয়েছে। আর মনোজ সিনহা দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি সাফ জানিয়েছেন যে, কাশ্মীরের সন্ত্রাসের ইকোসিস্টেম ধ্বংস করা তাদের প্রধান লক্ষ্য।
জানিয়ে রাখি, 6 জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাটরা থেকে শ্রীনগর পর্যন্ত বন্দে ভারত ট্রেনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। আর এই সফরে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের ঘোষণাও করতে পারেন তিনি। এর আগে 19 এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কাশ্মীর সফল বাতিল হয়েছিল নিরাপত্তাজনিত কারণে। আর ঠিক তার দুদিন পরেই পর্যটকদের উপর ভয়াবহ হামলা হয়েছিল। এখন দেখার, তার সফর কতটা সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |