মুজিবুর রহমান আর মুক্তিযোদ্ধা নয়! নয়া অধ্যাদেশ জারি ইউনূস প্রশাসনের

Published on:

Bangladesh Sheikh Mujibur Rahman

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ওপার বাংলার (Bangladesh) রাজনৈতিক অঙ্গনে ফের দানা বাঁধল বিতর্ক। হ্যাঁ, এবার বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে স্বাধীনতার মেরুদণ্ড বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান শুধুমাত্র সহযোগিতায় সীমাবদ্ধ? হ্যাঁ, এমনই ইঙ্গিত মিলে ইউনূস সরকারের সদ্য জারি করা এক অধ্যাদেশ।

আসলে মঙ্গলবার গভীর রাতে রাষ্ট্রপতির আদেশে আইন মন্ত্রকের তরফ থেকে এক অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে। আর তাতেই বদলে দেওয়া হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞাকে। ফলত, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী 400-এর বেশি রাজনীতিবিদ, যাদেরকে এতদিন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সম্মান দেওয়া হতো, এখন তারা মুক্তিযুদ্ধের শুধুমাত্র সহযোগী হবে।

নতুন অধ্যাদেশ কী বলছে?

জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের অধ্যাদেশে এবার উল্লেখ করা হয়েছে যে, মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকার, রাজনৈতিক নেতারা এবং আরও 4 শ্রেণীর মানুষ, যাদের এতদিন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গণ্য করা হতো, তাদের এখন শুধুমাত্র সহযোগী হিসেবেই পরিচয় দেওয়া হবে। এর জেরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমেদ সহ প্রবাসী সরকারের নেতারা আর মুক্তিযোদ্ধা থাকবেনা, বরং তারা শুধুমাত্র সহযোগী হিসেবেই গণ্য হবে। 

এদিকে আইন মন্ত্রকের সূত্রে মারফত খবর, 15 মে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদিত হয়েছিল। তারপর তা আইন মন্ত্রকের যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়েই রাষ্ট্রপতির সম্মতি নিয়ে মঙ্গলবার রাত্রিবেলা কার্যকর করা হয়। তবে প্রশ্ন উঠছে, এই পদক্ষেপ কি সত্যিই বাস্তবসম্মত? 

আরও পড়ুনঃ নিত্যযাত্রীদের জন্য সুখবর! নিউ টাউন-সল্টলেক থেকে চালু ৫টি নতুন রুটের বাস পরিষেবা

বিশ্লেষকরা কী বলছে?

রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, ইউনূস প্রশাসন মূলত আওয়ামী লীগকে কোণঠাসা করার জন্যই এই বড়সড় সিদ্ধান্তের পথে হেঁটেছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা অস্বীকার করা বা তাকে ছোট করা নিছকই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যের জেরেই হতে পারে। 

তবে আওয়ামী লীগের তরফ থেকে এখনো কোনোরকম আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি। কিন্তু দলের অন্দরমহলে যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দলের অনেক নেতাই এখন ইউনূসের এই পদক্ষেপকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করছে।

সঙ্গে থাকুন ➥