সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বৈশ্বিক অর্থনীতিতে যখন এক প্রকার টানাপোড়েন চলছে, তখন ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বিরাট সুখবর দিয়েছে। হ্যাঁ, 2025 সালের মার্চ মাসের শেষে ভারতের মোট সোনার (Gold Reserve) বাজার মূল্য পৌঁছেছে 4.32 লক্ষ কোটি টাকায়, যা বিগত বছরের তুলনায় প্রায় 57.2% বেশি।
তবে সবথেকে বড় ব্যাপার, প্রতিবেশী কাঙালের দেশের অবস্থা করুণ। হ্যাঁ, সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের হাতে রয়েছে মাত্র 5.43 বিলিয়ন ডলারের সোনা, যা ভারতীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় মাত্র 45 হাজার কোটি টাকা। এমনকি এই সম্পদকে একাই ছাপিয়ে গিয়েছে ভারতের দুই শীর্ষ ধনকুবের – মুকেশ আম্বানি এবং গৌতম আদানি।
ভারতের সোনার রিজার্ভে রেকর্ড
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট বলছে, 2024 সালের মার্চ মাসে তাদের হাতে ছিল 822.10 মেট্রিক টন সোনা, আর এক বছরের মধ্যে তা বেড়ে 879.88 মেট্রিক টনে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, এক বছরে ভারত 57.48 মেট্রিক টন সোনা সংরক্ষণ করতে পেরেছে।
আর এই বিপুল পরিমাণ সোনা সংরক্ষণের পেছনে রয়েছে আন্তর্জাতিক দর বৃদ্ধি, রুপির মূল্য হ্রাস এবং নতুন সোনা আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি। আর এই মুহূর্তে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ইস্যু ডিপার্টমেন্টের আওতায় রয়েছে 311.38 মেট্রিক টন সোনা এবং বাকি 568.20 মেট্রিক টন সোনা ব্যাঙ্কিং ডিপার্টমেন্টের আওতায় রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ব্যাঙ্কের লকার থেকে চুরি ৫৯ কেজি সোনা! মিলল কালো পুতুল, চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়
পাকিস্তানের সোনার ভান্ডারে করুণ অবস্থা
ওদিকে পাকিস্তানের স্বর্ণভান্ডারের অবস্থা শোচনীয়। সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট বলছে, 2024 সালের ডিসেম্বর মাসে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের হাতে ছিল মাত্র 5.43 বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সোনা। আর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে যে, ইন্দাস নদীতে 80 হাজার কোটি টাকা সোনার সন্ধান মিলেছে। তবে বাস্তবে সেটা কতটা সত্যি, তা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ।
আর ভারতের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, ভারতের সোনার ভাণ্ডার পাকিস্তানের তুলনায় প্রায় 9 গুণ বেশি। এমনকি মুকেশ আম্বানির সম্পদের মূল্যই প্রায় 102 বিলিয়ন মার্কিন ডলার, আর গৌতম আদানির সম্পদের মূল্য 81.5 বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর এই দুই ব্যক্তির একার সম্পদই পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের সোনার তুলনায় কয়েক গুণ বেশি।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |