প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: নিট পরীক্ষায় কারচুপির অভিযোগের পর এবার ডাক্তারি পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। জানা গিয়েছে রাজস্থানের বাসিন্দা মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়া সুমিত মণ্ডলীয়াকে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি। বিনা দোষে সাসপেন্ড হওয়ার অভিযোগ নিয়ে মামলা উঠল পড়ুয়ার পক্ষ নেয় হাইকোর্টের বিচারপতি রাজা বসু চৌধুরী। হারের মুখে দেখতে হল রাজ্যকে।
ঘটনাটি কী?
ঘটনা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ এ NEET এর পরীক্ষায় অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়া সুমিত মণ্ডলীয়ার বিরুদ্ধে। শেষে এই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২৪-এর মে মাসে দিল্লির তিলকনগর থানার পুলিশ গ্রেফতার করে সুমিতকে। পরে দেশ জুড়ে ‘NEET’ দুর্নীতির তদন্তে নামে সিবিআই। এদিকে গ্রেফতারির এক মাসের মাথায় জামিন পেয়ে যান সুমিত নামে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের মামলাকারী ওই পড়ুয়া।
নির্দোষ প্রমাণের আগেই সাসপেন্ড পড়ুয়াকে!
কিন্তু পুলিশের মামলায় জামিন পেলেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI এর তদন্ত শুরু হয় সুমিতের বিরুদ্ধে। এক বছর কেটে গেলেও তদন্তে কোনও অগ্রগতি হয়নি। শুধু তাই নয় তদন্তের স্বার্থে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেনি ডাক্তারি পড়ুয়াকে। এদিকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের আগামী ৯ এবং ১০ জুন তাঁর পরীক্ষা রয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর কয়েক মাস আগেই অর্থাৎ এপ্রিলে সুমিত মণ্ডলীয়াকে সাসপেন্ড করে দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ। আর তাতেই মামলা অন্য রূপ দেয়। বিনা নোটিসে এইরূপ পদক্ষেপ মেনে নিতে পারেনি ওই ডাক্তারি পড়ুয়া।
দ্রুত শুনানির আর্জি অভিযুক্ত আইনজীবীর
শেষপর্যন্ত কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি পথে ধরে সুমিত মণ্ডলীয়া। পরীক্ষায় বসতে চেয়ে তিনি হাই কোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন। জানা গিয়েছে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সুমিতের আইনজীবী দেবারতি রায়চৌধুরী এবং অর্কদেব বিশ্বাস দ্রুত শুনানির আর্জি জানান। যদিও আদালতে গরমের ছুটি চলছে। কিন্তু তাঁদের দাবি আজকেই যদি দ্রুত মামলা না শোনা হয়, তাহলে ওই পড়ুয়া পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। সুমিতের আইনজীবীর দাবি, সুমিতের ফৌজদারি অপরাধ এখনও প্রমাণিত হয়নি। তবে কীসের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষ সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন?
আরও পড়ুন: পুরনো গাড়ি কেনাবেচায় বাধ্যতামূলক লাইসেন্স, দক্ষিণা কত? কড়া নির্দেশ পরিবহন দপ্তরের
কী রায় দিলেন বিচারপতি?
এছাড়াও সুমিতের আইনজীবী দেবারতি রায়চৌধুরী এবং অর্কদেব বিশ্বাস জানতে চান যে যখন ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত নির্দোষ বলে প্রমাণিত হয় তখন কী হবে? অতিরিক্ত পরীক্ষায় বসার সুযোগ হারিয়ে পড়ুয়ার গুরুত্বপুর্ণ সময় নষ্ট হতে চলেছে যা ভবিষ্যতে প্রভাব ফেলতে পারে। অন্যদিকে রাজ্যের আইনজীবী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান যে, কেন্দ্রের মেডিক্যাল কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্য সাসপেন্ড করেছে অভিযুক্ত পড়ুয়াকে।
এরপর উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে মামলাকারীর আবেদন গ্রহণ করে বিচারপতি রাজা বসুচৌধুরী নির্দেশ দেন, ওই ডাক্তারি পড়ুয়াকে পরীক্ষায় বসা থেকে কোনও ভাবেই বিরত করা যাবে না। অর্থাৎ তাঁকে পরীক্ষায় বসতে দিতে হবে। জানা গিয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি পরার্মশ অর্থাৎ জুলাইতে হবে।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |