সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: রোজ সকালে ভিড়ভাট্টা ঠেলে অফিসে যাওয়ার সাথে কমবেশি সবাই পরিচিত। হ্যাঁ, ট্রেনের (Indian Railways) হাতলে ঝুলে থাকা মানুষের ভিড় আর হাওয়া না পাওয়া কামড়ায় গরমে হাঁসফাঁসের সাক্ষী থাকে অসংখ্য যাত্রী। তবে এবার সেই দৃশ্য সম্পূর্ণ বদলাতে চলেছে। কারণ, শিয়ালদহ শাখার কৃষ্ণনগর-লালগোলা রুট নিয়ে এবার বিরাট সিদ্ধান্ত নিল ভারতীয় রেল।
সূত্রের খবর, এবার 11টি মেমু ট্রেনকে ইএমইউ’তে রূপান্তর করা হচ্ছে। যার ফলে শুধুমাত্র ভিড় কমবে না, বরং যাত্রী পরিষেবার মানও হবে উন্নত। যদিও এই সিদ্ধান্তটি আপাতত কিছুদিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে। তবুও রেল সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে, কিছুদিনের মধ্যেই এই পরিকল্পনা কার্যকর হবে।
কী কী বদল আসছে ট্রেনে?
বলে রাখি, গত 4 জুন এই নতুন পরিষেবা চালু হওয়ার কথা ছিল। তবে কিছুদিনের জন্য তা স্থগিত রয়েছে। এই পরিকল্পনার মধ্য থাকছে মেমু ট্রেন থেকে ইএমইউ ট্রেনে রূপান্তর। এই নয়া প্রযুক্তির ট্রেনগুলি চলবে আগের চেয়ে দ্রুত এবং এই গাড়িগুলিতে যাত্রীও বেশি ধরবে। পাশাপাশি এবার থেকে এই ট্রেনগুলি আর গ্যালোপিং হিসাবে চলবে না। প্রতিটি স্টেশনেই থামবে ট্রেনগুলি। ফলে ছোট স্টেশন থেকেও যাত্রীরা উঠতে পারবে।
জানিয়ে রাখি, এই নয়া পরিকল্পনায় কৃষ্ণনগর-লালগোলা রুটের বিভাজনও হচ্ছে। কারণ শিয়ালদা-কৃষ্ণনগর লোকাল পরিষেবার জন্য একটা আলাদা রুট তৈরি করা হচ্ছে এবং কৃষ্ণনগর-লালগোলা প্যাসেঞ্জার পরিষেবার একটি আলাদা রুট তৈরি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ বকেয়া DA নিয়ে কপাল খুলছে কর্মীদের, নয়া পন্থা অবলম্বন নবান্নের
যাত্রীদের প্রতিক্রিয়া
ভারতীয় রেলের এই সিদ্ধান্তের ফলে নিত্যযাত্রীরা উপকৃত হয়ে জানাচ্ছেন, আগে কৃষ্ণনগর থেকে লালগোলা ট্রেনে উঠতে গেলে কার্যত হিমশিম খেতে হতো। জায়গা পাওয়া তো দূর, কামরায় পর্যন্ত ওঠা যেত না। বহরমপুরের পর থেকে ভিড়ে ঠাসা হয়ে আসতো ট্রেনগুলি। কিন্তু এবার যদি শিয়ালদা-লালগোলা ট্রেনকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়, তাহলে কৃষ্ণনগর থেকে যারা নিত্য যাতায়াত করে, তাদের কাছে বিকল্প পথ খুলে যাবে। আর ভ্যাঁপসা গরমে যাত্রীরা উপকৃত হবে।
তবে এই সিদ্ধান্তের আরো একটি বড় সুবিধা হল, দুটো ট্রেনের মধ্যে ব্যবধান এবার কমে যাবে। অর্থাৎ, যাত্রীদের আর দীর্ঘক্ষন ধরে স্টেশনে অপেক্ষা করতে হবে না ট্রেনের জন্য। রেল মনে করছে, এতে লোকাল ট্রেনগুলোর উপর চাপ অনেকটাই কমবে এবং ভিড় অনেকটাই হ্রাস পাবে ও সবার যাত্রা হবে আরামদায়ক।