সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: গ্রামের মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করতে বিরাট উদ্যোগ নিল লাইফ ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন বা দেশের সর্ববৃহৎ বীমা সংস্থা (LIC Scheme)। হ্যাঁ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে 2024 সালের 9 ডিসেম্বর যাত্রা শুরু হয়েছে বিমা সখী প্রকল্পের, যার মূল লক্ষ্য গ্রামীণ মহিলাদের আর্থিকভাবে সচ্ছল করে তোলা এবং কর্মসংস্থানের রাস্তা গড়ে দেওয়া।
কী এই বিমা সখী প্রকল্প?
LIC-র এই প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের গ্রামীণ এলাকার মহিলাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে বিমা এজেন্ট তৈরি করা হয়। আর এখানে শুধুমাত্র চাকরি নয়, বরং প্রশিক্ষণকালীন আর্থিক সহায়তাও প্রদান করা হয়। তিন বছরের এই স্কিমে ধাপে ধাপে মহিলারা পান 2 লক্ষ টাকার বেশি ভাতা।
কীভাবে দেওয়া হয় আর্থিক সহায়তা?
বেশ কয়েকটি সূত্র খতিয়ে জানা গেল, এখানে প্রশিক্ষণ পর্ব তিন বছর ধরে চলে এবং প্রত্যেক বছর মহিলাদের নির্দিষ্ট পরিমাণ স্টাইপেন্ড দেওয়া হয়। যেখানে প্রথম বছর প্রতিমাসে 7 হাজার টাকা করে অর্থাৎ, বছরে 84 হাজার টাকা মেলে। দ্বিতীয় বছর প্রতি মাসে 6 হাজার টাকা করে অর্থাৎ, বছরে 72 হাজার টাকা মেলে এবং তৃতীয় বছর প্রতি মাসে 500 টাকা করে অর্থাৎ বছরে 6 হাজার টাকা মেলে।
এবার হিসাব করলে মোট ভাতার পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে 1 লক্ষ 62 হাজার টাকা। এর পাশাপাশি প্রশিক্ষণের প্রথম বছরের পলিসি বিক্রি করে মহিলারা কমিশন বাবদ 48 হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারে। অর্থাৎ, তিন বছরে প্রায় 2 লক্ষ 10 হাজার টাকার বেশি উপার্জন করা সম্ভব।
আরও পড়ুনঃ কলকাতার কাছেই রয়েছে ‘মিনি পহেলগাঁও’, উইকএন্ডে ঢুঁ মারুন দক্ষিণবঙ্গের বৈসরন ভ্যালিতে
প্রশিক্ষণের পর কী কী সুযোগ মিলবে?
এখানে প্রশিক্ষণ শেষ করার পর প্রতিটি অংশগ্রহণকারী মহিলা বিমা সখী সার্টিফিকেট ও LIC এজেন্ট কোড পাবে। অর্থাৎ, তারা LIC-র সরকারি বিমা এজেন্ট হিসেবে খুব সহজে কাজ শুরু করতে পারবে। ফলে তারা পরিবার এবং সমাজে এক নয়া উচ্চতায় পৌঁছে যাবে এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
তাই যারা এই প্রকল্পের মাধ্যমে নিজের জীবনকে বদলাতে চান এবং ভবিষ্যতে সুরক্ষিত থাকতে চান তারা অবশ্যই LIC-র অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে এখনই অনলাইনে মাধ্যমে আবেদন সেরে নিতে পারেন।