“মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী ও…” পর্নকাণ্ডে অভিযুক্ত শ্বেতা খানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ প্রাক্তন স্বামীর

Published on:

Sodepur Assault Case

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: তদন্ত যত গভীরে যাচ্ছে ততই সোদপুরের তরুণী নিগ্রহের ঘটনা (Sodepur Assault Case) একের পর এক নয়া মোড় নিয়েই চলেছে। প্রকাশ্যে আসছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের বিভিন্ন কাজ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে তরুণীদের ডেকে তাঁদের দিয়ে পর্ন ভিডিয়োর ব্যবসা চালাতেন শ্বেতা খান এবং ছেলে আরিয়ান। কিন্তু সব কিছুর আড়ালে ছিল দেহ ব্যবসা। আর এই অভিযোগের মাঝেই এবার আরও এক বিস্ফোরক অভিযোগ তুলল শ্বেতার প্রাক্তন স্বামী।

বিস্ফোরক অভিযোগ প্রাক্তন স্বামীর

সোদপুর-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত শ্বেতার প্রাক্তন স্বামী পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। হাওড়ার মঙ্গলাহাট এবং কলকাতার মেটিয়াবুরুজে কাপড়ের ব্যবসা ছিল মোরসেলিমের। ২০০২ সালে শ্বেতা ও মোরসেলিমের বিয়ে হয়। দম্পতির দুই সন্তান আরিয়ান খান এবং ইশিকা খান। কিছু দিন আগে মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। মেয়ের ‘আত্মহত্যা’র জন্য স্ত্রীকেই দায়ী করেছেন প্রাক্তন স্বামী। তাঁর অভিযোগ, “টাকা এবং সম্পত্তির লোভে আমায় বিয়ে করেছিল। তার পর থেকে শুধুই অশান্তি। আমার পরিবারের লোকজনকেও মারধর করত। বাড়িতে অন্য পুরুষবন্ধুদের ডেকে ফুর্তি করত। গোটা পরিবারটাকে শেষ করে দিয়েছে ও।’’

মেয়ের মৃত্যুর জন্য শ্বেতা দায়ী!

এখানেই থেমে থাকেননি শ্বেতার প্রাক্তন স্বামী। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, তাঁর দুই ছেলে মেয়ের এই পরিণতি সম্পূর্ণ শ্বেতার জন্যই হয়েছে। তার জন্যই নাকি তাঁদের একমাত্র মেয়ে আত্মহত্যা করে অকালে চলে গিয়েছে। এমনকি ছেলে আরিয়ানও ভুল পথে চালিত হচ্ছে। তাই সব কিছুর জন্য তিনি শ্বেতাকেই দায়ী করেছেন। আর এই আবহে পর্নকাণ্ড এবং তরুণীকে নির্যাতনে অভিযুক্তা শ্বেতার সঙ্গে শাসকদলের যোগ নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে হাওড়ায়। তবে মন্ত্রী অরূপ রায় জানিয়েছে, যদি তৃণমূলের কোনও পদে তিনি থেকে থাকেন তাহলে শীঘ্রই সেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: অবশেষে পুলিশের জালে ধরা দিল অভিযোগকারী ওয়াজাহাত খান! শর্মিষ্ঠা গ্রেফতারি কাণ্ডে নিল নয়া মোড়

বিদেশ সফর নিয়েও উঠছে প্রশ্ন

এদিকে তদন্ত সূত্রেই জানা গিয়েছে, শ্বেতা খান ও আরিয়ান খান বছরে একাধিকবার নাকি ব্যাংককে যেতেন। কিন্তু সেখানে শ্বেতার কী যোগাযোগ, সেটা জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। কাদের সঙ্গে শ্বেতা ব্যাংককে যেতেন, কেন যেতেন, এই সবটাই তদন্তকারীদের জিজ্ঞাসাবাদের তালিকায় রয়েছে।

ইতিমধ্যেই বিশেষ টিম তৈরি করে চলছে চিরুনি তল্লাশি। অন্যদিকে, সোদপুরের যে তরুণীকে আটকে রাখা হয়েছিল, তাঁকে নাকি একবার কুলু-মানালিও নিয়ে গিয়েছিলেন শ্বেতা এবং আরিয়ান। কিন্তু কী কারণে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।

সঙ্গে থাকুন ➥