বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: অপারেশন সিঁদুর থেকে শিক্ষা নিয়েছে গোটা বিশ্ব। ভারতের সাথে শয়তানির ফল যে কতটা মারাত্মক হতে পারে তা পাকিস্তান সহ অন্যান্য বিরোধী দেশের মগজে ভাল মতো ঢুকে গিয়েছে। গত মাসে ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যেভাবে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান, মিসাইল ও ড্রোন হামলা রুখে দিয়েছিল, তাতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর দিল্লির ভরসা যথেষ্ট মজবুত হয়েছে।
এবার সেই শক্তি আরও কয়েকগুণ বাড়াতে চলেছে কেন্দ্র। শোনা যাচ্ছে, দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত ও শক্তিশালী করতে হাজার হাজার কোটি টাকা ঢালবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
নতুন এয়ার ডিফেন্স পেতে চলেছে ভারতীয় সেনা (Indian Army)
বেশ কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের প্রতিরক্ষাকে আরও শক্তি দিতে খুব শীঘ্রই 30 হাজার কোটি টাকার নতুন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তুলে দেওয়া হবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাতে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের পোশাকি নাম কিউআরস্যম, সারফেস টু এয়ার মিসাইল। বলে রাখি, সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হবে এই বিরাট ক্ষেপণাস্ত্র। যা তৈরির দায়িত্ব গিয়ে পড়েছে ভারতের গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা অর্থাৎ DRDO-র কাঁধে।
কবে মিলবে ছাড়পত্র?
সম্প্রতি সংবাদসংস্থা ANI দাবি করেছে, চলতি মাস অর্থাৎ মে-তেই নতুন এয়ার ডিফেন্সের প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিতে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কমিটি।
সূত্রের খবর, সব ঠিক থাকলে চলতি মাসের শেষের দিকেই নতুন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমটির প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিয়ে দেবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ ওই কমিটি।
এয়ার ডিফেন্সটির ক্ষমতা
আপাতত যা খবর, ভারতের এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা খুব সহজেই শত্রুর ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনগুলিকে আকাশেই নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারবে। শুধু তাই নয়, দূরের ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোনকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে সেগুলিকে চোখের পলকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে এই এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির জন্য এই কিউআরস্যম, সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেমটি সবচেয়ে আদর্শ হবে।
অবশ্যই পড়ুন: ইংল্যান্ড সিরিজে টিম ইন্ডিয়ার জয়ের কারণ হয়ে উঠবেন এই ৫ তারকা! তালিকায় বড় চমক
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার 75 বছরে পা রেখেই আত্মনির্ভর ভারত গড়ার অঙ্গীকার করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাম্প্রতিক সময়ে, ভারতের প্রতিরক্ষা খাতে যেভাবে বরাদ্দ বাড়ছে তা দেখে অনেকাংশেই মনে হচ্ছে বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ক্রমশ নিজের দমে অস্ত্রশস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম তৈরিতে নতুন নতুন ধাপ পেরিয়ে যাচ্ছে ভারত।
বলে রাখি, ইতিমধ্যেই গুজরাত, উত্তর প্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যে তৈরি হয়েছে প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের কারখানা। আরও বেশ কিছু রাজ্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি অস্ত্রশস্ত্রের কারখানা নির্মাণ করতে চলেছে কেন্দ্র। সব মিলিয়ে বলাই যায়, আজকের ভারত আর উন্নত বিশ্বের ওপর নির্ভরশীল নয়! বরং, আত্মনির্ভর হয়েই শত্রুপক্ষের মনে ভয় ধরিয়েছে সে।