ইউনূসের নর্থইষ্ট নিয়ে বয়ানবাজির মধ্যেই আইজলকে রেলপথে যুক্ত করছে ভারত

Published on:

Updated on:

northeast india

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: সম্প্রতি জন্মু ও কাশ্মীরের চেনাব নদীর উপর বিশ্বের সবথেকে উঁচু রেল ব্রিজ উদ্বোধনের সাক্ষী থেরেখেছে গোটা ভারতবর্ষ থেকে শুরু করে গোটা বিশ্ব। আর সেই প্রকৌশলিক সাফল্যের আরো এক প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে এবার উত্তর পূর্বাঞ্চলে! হ্যাঁ, এবার বিরাট রেল প্রকল্প বাস্তবে পরিণত হচ্ছে। সূত্রের খবর, মিজোরামের রাজধানী আইজল পর্যন্ত এবার চাকা গড়িয়েছে ট্রেনের। আর এতে করে পড়শি দেশকে একপ্রকার হাতেনাতে জবাব দেবে ভারত (India Bangladesh)।

আইজল পর্যন্ত ডিরেক্ট রেললাইন

পাহাড় কেটে ট্র্যাক বসানো মানে এক কথায় যুদ্ধের সমান! আর সেই পাহাড় কেটেই তৈরি করা হচ্ছে 48টি সুরঙ্গ, 55টি বড় সেতু এবং 87টি ছোট সেতু। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। শুধু তাই নয়, 104 মিটারের উঁচু একটি সেতুও নির্মাণ করা হচ্ছে, যা কিনা কুতুব মিনারের থেকেও 42 মিটার উঁচু। আর এই গোটা প্রকল্প শুধুমাত্র ভারতের জন্য নয়, বরং আন্তর্জাতিক মাইলফলকও স্পর্শ করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

ইউনূসের বক্তব্যে দানা বেঁধেছিল বিতর্ক

সম্প্রতি ওপার বাংলার প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস চীন সফরে গিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করে এসেছিলেন। হ্যাঁ, তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল অর্থাৎ, ল্যান্ড লক এলাকার সমুদ্রের একমাত্র অভিভাবক। আর এই মন্তব্যেই শুরু হয় বিতর্ক। ঠিক তার পরপরই ভারত সরকারের দ্বারা মিজোরাম পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ হয়ে উঠেছে একপ্রকার নিঃশব্দ জবাব।

আরও পড়ুনঃ ভারতের প্রত্যাঘাতে কাহিল অবস্থা! আমেরিকায় গিয়ে নতুন ফাঁদ পাতছে পাকিস্তান

আসলে এই রেল প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কানেক্ট নর্থ-ইস্ট মিশনের আওতায় একটি ধাপ। আর এর আগে অসম, ত্রিপুরা ও অরুণাচল প্রদেশে রেলপথ যুক্ত হলেও মিজোরাম সেই তালিকায় ঠাই পায়নি। আর এবার সেই বাঁধা দূর হল। জানিয়ে রাখি, এই রেলপথটি 51.38 কিলোমিটার দীর্ঘ এবং এর মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ রুটটি হলে বৈরাবি থেকে আইজল। এই প্রকল্পে আনুমানিক 521.45 কোটি টাকা ব্যয় হবে বলে সূত্র মারফত খবর। পাশাপাশি এটি চারটি ধাপে নির্মাণ করা হচ্ছে। 

প্রসঙ্গত, মিজোরাম বাংলাদেশ এবং মায়ানমার সীমান্তে সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় এখানে রেললাইন স্থাপন মানে শুধুমাত্র যাতায়াতের উন্নয়ন নয়, বরং সেনাবাহিনী, ত্রাণ সরবরাহ থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক খাতেও বিরাট ভূমিকা পালন করবে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা, কবে এই প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন ঘটে।

সঙ্গে থাকুন ➥