সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ভারতের সঙ্গে শত্রুতার (India’s Enemy Country) কথা উঠলে বরাবরই চীন, পাকিস্তানের নাম উঠে আসে! এমনকি এখন বাংলাদেশের নামও উঠে আসছে। তবে এরই মাঝে নয়া এক দেশের নাম সামনে আসছে, যারা নীরবেই ভারতের পেছন দিক থেকে ছুরি মারছে! হ্যাঁ, তাও একটি মুসলিম দেশ!
বিশেষ করে কিছুদিন আগে অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন এই দেশ পাকিস্তানের পক্ষে নিয়েছিল। এমনকি তাদেরকে অস্ত্র দিয়েও সাহায্য করেছিল বলে খবর। আর বর্তমানে এই দেশের উস্কানিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের কার্যকলাপ দিল্লিকে আবারো নতুন করে চিন্তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
নীরবে ষড়যন্ত্র আঁটছে এই দেশ
গোয়েন্দা রিপোর্ট মারফত খবর পাওয়া যাচ্ছে, বাংলাদেশের এক মৌলবাদী সংগঠন জামায়াতে ইসলামী, এখন তুরস্কের কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে অর্থ সাহায্য পাচ্ছে। এমনকি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলর সন্ত্রাসবাদ উস্কে দিতে এই অর্থকে কাজে লাগাচ্ছে তারা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছে, তুরস্ক শুধুমাত্র অর্থ দিয়ে নয়, বরং মতাদর্শ ও সামরিক সহায়তা দিয়েও এই গোষ্ঠীগুলিকে দিনের পর দিন সাপোর্ট করে যাচ্ছে। ফলে বলা চলে, ভারতের পিছন দিক থেকে একেবারে ছুরি মারতে চাইছে তুরস্ক।
ঢাকার নয়া দপ্তরে তুরস্কের কারসাজি
গোয়েন্দাদের সূত্রে আরও খবর পাওয়া গেল, ঢাকার মগবাজার এলাকায় জামায়াতে ইসলামের এক নয়া দপ্তরের নির্মাণ করার দায়িত্ব নিয়েছিল তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থা। আর এই কেন্দ্রটি চালাতে ইতিমধ্যেই তুরস্ক থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থ নিয়ে এসেছে তারা।
জানা যাচ্ছে, জামায়াতের এক ছাত্রনেতা সাদিক কাইয়ুম বর্তমানে তুরস্ক সফরে রয়েছে। আর সেখানে তিনি কূটনৈতিক ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করছে, পাশাপাশি অস্ত্র কারখানা পরিদর্শন করে বেড়াচ্ছে।
বলে রাখি, সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান আশিক চৌধুরীও তুরস্ক সফরে গিয়েছেন। তিনি সেখানে অস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্র ঘুরে ঘুরে দেখছেন, যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্কের দানা বেঁধেছে।
আরও পড়ুনঃ কেন ইরানের পারমাণবিক আস্তানায় হামলা ইজরায়েলের? কারণ জানলে পায়ের তলার মাটি সরে যাবে!
বাংলাদেশের পাশাপাশি মায়ানমারেও তুরস্কের হস্তক্ষেপ
বেশ কয়েকটি সূত্র খতিয়ে আরও জানা গেল, তুরস্ক গোপন সূত্র এবার মায়ানমারের আরাকান আর্মিকে সমর্থন করছে। হ্যাঁ, আরাকান অঞ্চলে অস্থিরতা সৃষ্টি হলেই ভারতের নর্থ-ইস্ট সীমান্তে চাপ পড়তে পারে বলে মনে করছে বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ। বিশেষ করে আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মিজোরামের মতো রাজ্যগুলির নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড়সড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।
বলে রাখি, আর তুরস্ক এবং পাকিস্তান, এই দুই দেশের ঘনিষ্ঠতা বরাবরই মাখনের মতো। তবে এখন থার্ড পার্টি হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের হস্তক্ষেপ ভারতের জন্য কিছুটা হলেও সামরিক হুমকি হয়ে উঠতে পারে। এখন দেখার, পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।