প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গরমের ছুটিতে গরমের থেকে বাঁচতে অনেকেই উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি গ্রামগুলোয় ভিড় করে। দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াংয়ের গ্রামগুলো এখন যেন ভিড়ে গিজগিজ করছে। এদিকে অফবিট ডেস্টিনেশনের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তাই আজ আমরা আপনাদের জন্য এক দারুণ অফবিট জায়গার (Offbeat Village In Kalimpong) খোঁজ নিয়ে এসেছি যেখানে গেলেই আপনারা পৃথিবীর বুকে এক চিলতে স্বর্গ দেখতে পাবেন।
সবুজ পাহাড়ের কোলে নিরিবিলি গ্রাম!
ভারত-ভূটান সীমান্তের নির্জন এক পাহাড়ি গ্রাম হল চিসাং। অপূর্ব সেই সবুজঘেরা গ্রামে রয়েছে হাতেগোনা কয়েকটা বাড়ি। আর সেই বাড়িগুলিই সেজে উঠেছে রকমারি ফুলে। সেখানে গেলেই ফুলের সুবাসের সঙ্গে সঙ্গেই গন্ধ পাওয়া যায় এলাচের। কারণ গ্রাম্য রাস্তার ধারে, পাহাড়ি উপত্যকায় রয়েছে এলাচের ক্ষেত। কোথাও আবার পাহাড়ের ধাপে ধাপে রয়েছে চাষের জমি। আর তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভোর থেকে সন্ধে পর্যন্ত অবিরামভাবে ডেকে চলেছে পাখিরা। ক্লান্তিভাব যেন তাঁদেরকে একদমই গ্রাস করতে পারেনি।
বর্ষাকালে সম্পূর্ণ অন্য রূপ দেখা যায়!
বর্তমানে পাহাড়ি এলাকায় পর্যটকদের আকর্ষণ টানতে এবং তাঁদের সুবিধার্থে অনেক বাজার এবং শপিং মল গড়া হয়েছে। কিন্তু চিসাং- এ সম্পূর্ণ নিরিবিলি এবং শান্তির জায়গা। বাহারি বাজার, শপিংমল যেমন নেই ঠিক তেমনই এখানে নেই বিলাসবহুল হোটেল। একেবারে শান্ত, নিরিবিলি জায়গা যাঁদের পছন্দ, তাঁদের জন্য পারফেক্ট টুরিস্ট স্পট। বর্ষাকালে চিসাং (Offbeat Village In Kalimpong) থাকে একেবারে অন্য রূপে কিন্তু মেঘের চাদর সরতেই চিসাংয়ের রূপ বদলে যায়। যাঁরা প্রকৃতির সান্নিধ্যে নিজেকে খুঁজে পেতে চান তাঁদের জন্য এই গ্রাম বেশ।
কীভাবে যাবেন সেখানে?
কেউ যদি ২ দিনের জন্য চিসাংয়ে থাকেন তাহলে পায়ে হেঁটে ঘুরে নিতে পারেন দাওয়াইপানি, তোদে বাজার, সীমানাখোলা। ঘুরে নেওয়া যায় ঝালং, বিন্দু, পারেনও। ঘণ্টা তিনেক সময় হাতে নিয়ে গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে আসতে পারেন এসব জায়গায়। নিউ মাল জংশন স্টেশন থেকে চিসাং যাওয়া খুবই সুবিধাজনক।
এখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে যেতে হবে চিসাং। এনজেপি স্টেশন থেকে চিসাং যেতে অনেকটা সময় লাগে। এনজেপি থেকে গাড়ি নিয়ে চালসা, খুনিয়া মোড় থেকে ঝালং, বিন্দু যাওয়ার রাস্তা ধরে পৌঁছতে হবে চিসাং। পথে পড়বে চাপড়ামারির জঙ্গল, জালঢাকা নদী।
আরও পড়ুন: অবশেষে হাঁফ ছেড়ে বাঁচল মধ্যবিত্তরা, অনেকটাই কমলো সোনা-রুপোর দাম! আজকের রেট
তবে এখানে যেহেতু কমবেশি পর্যটকদের ভিড় হামেশাই চোখে পড়ছে তাই এখন এসব জায়গায় কম বেশি অনেক হোম স্টে তৈরি হয়েছে। চিসাংয়েও বেশ কিছু হোম স্টে রয়েছে। হোম স্টে গুলিতেই খাবারের ব্যবস্থা থাকে। তবে যাওয়ার আগে বুক করে নিতে পারেন। তা হলে সমস্যা হবে না। তাই দেরি না করে হাতে ৩ দিনের ছুটি নিয়ে ব্যস্ততাকে দূরে রেখে শান্তির খোঁজে পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে সোজা চলে আসুন এই অফবিট গ্রামে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |