আদানির নির্ভরতা কমাতে নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করবে বাংলাদেশ, ভরসা সেই ভারত

Published:

Electricity Import
Follow

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ওপার বাংলায় বিদ্যুতের সংকট নতুন কোনও ঘটনা নয়! গরমের সময় চাহিদা বাড়ার ফলে পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে ওঠে। কার্যত হাঁসফাঁস করতে হয়! আর সেই চাহিদা মেটাতে বহুদিন ধরেই বিদেশী উৎসের দিকে তাকিয়ে রয়েছে পদ্মাপাড়ের দেশ।

বিশেষ করে ভারতের আদানি গ্রুপের কাছ থেকে তারা সিংহভাগ বিদ্যুৎ আমদানি (Electricity Import) করে থাকে। তবে এবার সেই নির্ভরতা কমাতে বিরাট পদক্ষেপের পথে হাঁটছে বাংলাদেশ। হ্যাঁ, এবার তারা নেপাল থেকে 40 মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে বলে জানা গেল।

কীভাবে হচ্ছে এই বিদ্যুৎ আমদানি?

2023 সালের 3 অক্টোবর নেপাল, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছিল। আর সেই চুক্তির আওতায় ভারত বাংলাদেশকে 400 কেভি ট্রান্সমিশন লাইন ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিল, যার মাধ্যমে নেপাল থেকে ওপারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।

আর সেই চুক্তির সূত্র ধরে 15 জুন থেকে 15 নভেম্বর পর্যন্ত এই 5 মাস বাংলাদেশকে প্রতিদিন 40 মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে নেপাল। হ্যাঁ, এমনটাই জানা যাচ্ছে। সূত্র বলছে, 15 জুন রাত 12টা থেকেই এই বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা হবে।

বলে রাখি, এটা প্রথমবার নয় যে, নেপাল বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ পাঠাচ্ছে। 2023 সালের 15 নভেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে বাংলাদেশকে একদিনের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছিল নেপাল। তবে এবার সেই চুক্তি বাস্তবে রূপ নেওয়ার পালা।

কত দামে বিদ্যুৎ কিনছে বাংলাদেশ?

বেশ কয়েকটি সূত্র খতিয়ে জানা গেল, এই বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ইউনিট প্রতি 0.064 ডলার, অর্থাৎ 6.4 সেন্ট, যা ওপার বাংলার পক্ষ থেকে যথেষ্ট সাশ্রয়ী বলেই মনে করা হচ্ছে। সরকার ইতিমধ্যেই পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য বিদ্যুৎ আমদানি চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়ে ফেলেছে। 

আরও পড়ুনঃ মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পাসে ২০ হাজার! পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্কলারশিপে আবেদন শুরু

আদানি গ্রুপের উপর নির্ভরতা কমাতে চায় বাংলাদেশ?

জানিয়ে রাখি, নেপালের পাশাপাশি ভারতের আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বাংলাদেশ প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ কেনে। জানা গেল, ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডায় অবস্থিত আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা 1600 মেগাওয়াট। কিন্তু সেখানে দুটি ইউনিট থাকলেও একটি নভেম্বর মাস থেকেই বন্ধ।

আর সাম্প্রতিক সময়ে গ্রীষ্মের প্রবল দাবদাহ এবং চাহিদার কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ আরও দুটি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার পদক্ষেপ নিয়েছে, যাতে আদানি গ্রুপের উপর নির্ভরতা কমানো যায় এবং বিদ্যুতের সংকট কিছুটা হলেও মেটানো যায়।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join