বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের (Asim Munir) মার্কিন সফর নিয়ে ঘোর জল ঘোলার মাঝেই এবার আমেরিকার পাক দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন পাকিস্তানি প্রবাসীরা।
আপাতত যা খবর, ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশে মুনিরকে কসাই বলে উল্লেখ করে তুমুল বিক্ষোভে পা বাড়ান একাধিক পাকিস্তানি, কেঁপে ওঠে আমেরিকার পাক দূতাবাস চত্বর। সূত্রের খবর, বিক্ষোভকারীরা খুব সম্ভবত প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী তথা জেলবন্দী আসামি ইমরান খানের সমর্থক।
হঠাৎ কেন বিক্ষোভে নামলেন আমেরিকার পাক প্রবাসীরা?
বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, মূলত পাক সেনা জেনারেল মুনিরের পাকিস্তান সফরের কথা শুনেই গতকাল অর্থাৎ রবিবার ওয়াশিংটনে অবস্থিত পাক দূতাবাসের সামনে এক জোট হন বহু পাকিস্তানি নাগরিক। সূত্র বলছে, আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে ক্ষমতাসীন পাক সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক ক্ষোভ জাহির করতে থাকেন তাঁরা।
গলা ফাটানো চিৎকারে একেবারে গরম হয়ে ওঠে পাক দূতাবাস চত্বর। বেশ কয়েকটি সূত্র দাবি করছে, এদিন মূলত পাক সরকারের একাধিক পদক্ষেপের বিরোধিতা করে পাকিস্তানের সেনা জেনারেল আসিম মুনিরকে নিশানা করেন আমেরিকার পাক নাগরিকরা। শোনা যায়, মুনিরকে কসাই বলে দাবি করে বিক্ষোভকারীরা বলতে থাকেন, কোথায় লুকিয়ে রয়েছেন? ওই কসাইকে খুঁজে বের করুন!
রবিবার মূলত বেশ কিছু ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে আসিম মুনিরের বিরুদ্ধে একেবারে পাকিস্তানি ধাঁচে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন প্রবাসী পাকিস্তানিরা। জানা গিয়েছে, আমেরিকার পাক দূতাবাসের সামনে মুনির ও শেহবাজ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হওয়া বিক্ষোভকারীরা ছিলেন আদতে জেলবন্দী ইমরান খানের সমর্থক! সূত্র বলছে, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান মুনির ও বর্তমান পাক সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে, ইমরান খানের মুক্তির দাবি ও মুনিরের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমেরিকার মাটিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ওই প্রবাসী বিক্ষোভকারীরা।
অবশ্যই পড়ুন: মহাকাশ থেকে কেউ নজর রাখছে না তো? নিশ্চিত করতে মহাশূন্যে চর পাঠাবে ভারত
আমেরিকায় রয়েছেন মুনির?
সম্প্রতি জল্পনা বাড়ে পাক সেনাবাহিনীর প্রধান আসিম মুনিরকে নাকি সেনা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল আমেরিকা। যদিও তার পরপরই হোয়াইট হাউসের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, তারা কোনও দেশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিক বা সেনা কর্তাকে আমন্ত্রণ জানায়নি। তাহলে বর্তমানে কোথায় রয়েছেন মুনির? বলে রাখি, মুনির এখন আমেরিকায় রয়েছেন কিনা সে বিষয়টা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও পাক সংবাদমাধ্যম দাবি করছে, আমেরিকান সেনার প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ না দিলেও রবিবারই কুটনৈতিক সফরে আমেরিকায় পৌঁছেছিলেন মুনির! বর্তমানে নাকি তিনি ফ্লোরিডায় আমেরিকান সেনার দপ্তরে রয়েছেন।