সহেলি মিত্র, কলকাতা: আবারও শিরোনামে বাংলার ডিএ (DA) বা মহার্ঘ ভাতা মামলা। আবারো একবার দিয়ে মামলায় রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে তীব্র কটাক্ষ করতে শোনা গেল কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ-এর সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়ের গলায়। সুপ্রিম কোর্টের তরফে ডিএ মামলায় জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে বকেয়া ২৫ শতাংশ মেটাতে হবে। এদিকে যত ডেডলাইন এগিয়ে আসছে ততই রাজ্য সরকারি কর্মী থেকে শুরু করে পেনশন প্রাপকদের মধ্যে একটা চাপা উত্তেজনা কাজ করছে। সকলের মুখে একটাই প্রশ্ন সময়ের মধ্যে রাজ্য সরকার বকেয়া DA মেটাতে পারবে তো? আর যদি মেটাতে না পারে তাহলে এই সরকারি কর্মীদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে? এই বিষয়ে চরম হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গেল মলয় মুখোপাধ্যায়কে।
DA মামলায় বিস্ফোরক দাবি
সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটানোর ব্যাপারে রাজ্য সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে সেই নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মলয় মুখোপাধ্যায়ের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কোনো মডিফিকেশন বা ক্লারিফিকেশনের নোটিস জমা দেয়নি। তাঁর মতে, যদি সরকার এমন কোনো আবেদন শীর্ষ আদালতে করেও থাকে, তবে নিয়ম অনুযায়ী তার একটি কপি কনফেডারেশনকেও দেওয়ার কথা, যা তারা পায়নি।
আদালত অবমাননার মামলা করার হুঁশিয়ারি
মলয় মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘এখন আমাদেরকে একটা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে৷ “আজ ৪ সপ্তাহ হয়ে গেল, সরকার ডিএ দেওয়া নিয়ে কোনও উচ্চ-বাচ্চ তো করছে না৷ ডিএ দেবে তো?” এই প্রেক্ষিত বলি, এখনও দু সপ্তাহের কাছাকাছি সময় আছে, ওই সময়টা সরকারকে দিতে হবে৷ তথাপি সরকার হাত গুটিয়ে বসে থাকলে আমরা ট্রাইবুনালের অর্ডার এবং উচ্চ আদালতের অর্ডারের পর ডিএ না দেওয়ায় কারনে আমরা আদালত অবমাননার মামলা করে সরকারকে SAT থেকে High Court এবং High Court থেকে Supreme Court দৌড় করিয়েছিলাম৷ মাননীয় আমজাদ আলীর (২৩.০৯.২০) তীক্ষ্ম সওয়াল জবাবে ১৬.১২.২০ মধ্যে পুনঃরায় ডিএ মিটিয়ে (SAT এর রায়) দেওয়ার কথা মুখ্য সচিবকে জানিয়ে দিয়েছিল৷কিন্তু সরকার তার আগে ২৮.১১.২০ তে উচ্চ আদালতে গিয়ে আপিল মামলা করেন৷ ২০.০৫.২২ আপিল এবং ২২.০৯.২২ তৃতীয় রিভিউতে হেরে সর্বোচ্চ আদালতে গিয়ে SLP দায়ের করেন৷ এবারও যদি সর্বোচ্চ আদালতের রায় কার্যকর না করে থাকেন, সেক্ষেত্রে “আদালত অবমাননা” থেকে পালিয়ে আর কোনও পথ পাবে না৷’
আরও পড়ুনঃ সরল পথের কাঁটা! বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জামানকে গ্রেফতার করালেন ইউনূস?
কী কী শাস্তি হতে পারে?
আদালত অবমাননার জন্য কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। এমনকি ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ক্ষেত্রে যেমনটা হয়েছিল, আদালত অবমাননার জন্য বেতন বন্ধ করে দেওয়ার মতো কঠোর পদক্ষেপও নেওয়া হতে পারে।












