কেন্দ্রীয় হারে DA পাবেন বাংলার সরকারি কর্মীরা? বিরাট রায় হাইকোর্টের

Published:

calcutta high court da case
Follow

সহেলি মিত্র, কলকাতা: একদিকে যখন বকেয়া DA মামলা নিয়ে উত্তাল বাংলা, তখন আচমকাই ষষ্ঠ বেতন পে কমিশন নিয়ে বড় রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে ষষ্ঠ বেতন পে কমিশনের রিপোর্ট চাওয়া হল রাজ্য সরকারের কাছে। অপরদিকে নতুন করে হাইকোর্টের রায়ে নতুন করে আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মীরা। আরও বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।

ষষ্ঠ বেতন পে কমিশন নিয়ে যুগান্তকারী রায় হাইকোর্টের

এক যুগান্তকারী রায়ে, কলকাতা হাইকোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে অবিলম্বে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলে ফলে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের দীর্ঘ ও উদ্বেগজনক প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে। ঐক্য ফোরামের আহ্বায়ক দেবপ্রসাদ হালদারজানিয়েছেন, উন্নয়ন রাজ্য জুড়ে হাজার হাজার কর্মচারীর মনে আশার আলো জাগিয়েছে।

বিচারপতি অমৃতা সিনহা আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে সুপারিশ প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকারকে। রাজ্যের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে এই সুপারিশ প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন ইউনিটি ফোরামের আহ্বায়ক দাবি করেছেন, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান যে রিপোর্ট জমা দিয়েছিলেন, তাতে কীভাবে মহার্ঘ ভাতা বা অন্যান্য ভাতা দিতে বলা হয়েছিল, কীভাবে বেতন দিতে বলা হয়েছিল, তা খুঁটিয়ে দেখা হবে। পুরোটা জানার অধিকার আছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। এতদিন সেই অধিকার খর্ব করা হয়েছিল।

ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার

বিশিষ্ট মহল হাইকোর্টের এহেন রায়কে রাজ্যের জন্য বিরাট ধাক্কাদায়ক বলে মনে করছে। দেবপ্রসাদ হালদারের দাবি, মঙ্গলবার হাইকোর্টে রাজ্য সরকারকে রীতিমতো প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। কেন ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট দেওয়া হয়নি, সেই কৈয়িফত চাওয়া হয় রাজ্যের থেকে। সেটার প্রেক্ষিতে রাজ্য সরকারের তরফে দাবি করা হয়, হাইকোর্টের নির্দেশ দিলেই ষষ্ঠ বেতন কমিশনের কপি প্রদান করা হবে। এদিন বিচারপতির একের পর এক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় সরকারকে।

আরও পড়ুনঃ বদলে যাবে স্টেশনের রূপ, তৈরি হচ্ছে হাওড়া রেল ডিভিশনের নতুন ভবন

এই মামলার বিচারপতির তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “পে কমিশনের সুপারিশ সরকারের কোনও গোপন নথি নয়। তাহলে কীসের এত গোপনীয়তা? এটা সমস্ত সরকারি কর্মচারীর জন্যই।” রাজ্যের আইনজীবীকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “নিজেদের কাছে কেন রেখেছেন এই রিপোর্ট। এত ভলিউমের রিপোর্ট বানিয়েছেন অথচ না প্রকাশ করলে কীসের যৌক্তিকতা?” বিচারপতির আরো বলেন, “আমি বোঝার চেষ্টা করছি এতে এত লোকানোর কী আছে?”

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join