সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বিশ্বজুড়ে যখন প্রতিরক্ষা শক্তির লড়াই চরমে, ঠিক তখনই খেল দেখাচ্ছে ভারত! ব্রহ্মোস, অগ্নি-5 মিসাইল সিস্টেম তৈরি করে ইতিমধ্যেই অন্যান্য দেশের টনক নাড়িয়ে দিয়েছে দিল্লি! এবার আরো একধাপ এগিয়ে তৈরি করল এমন এক অস্ত্র, যা রাতারাতি শত্রুপক্ষের ঘুম কেড়ে নিতে পারে! আর এই মারণাস্ত্রের নাম ET-LDHCM, যা DRDO-র প্রোজেক্ট Vishnu-র আওতায় তৈরি!
কী এই ET-LDHCM?
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থার DRDO সম্প্রতি একটি সুপার মডার্ন হাইপারসনিক মিসাইল তৈরি করেছে, যা গতি এবং ক্ষমতা, দু’টোতেই ব্রহ্মোসকে টেক্কা দিয়ে ছাড়িয়ে গিয়েছে। আর এটি এমন একটি অস্ত্র, যা জল, স্থল এবং আকাশ তিন মাধ্যমেই লঞ্চ করা যাবে। জানা গেল, এর রেঞ্জ 1500 কিলোমিটার এবং গতি ঘণ্টায় 11,000 কিলোমিটার। অর্থাৎ, সন্ত্রাসের দেশের যেকোন স্থানকে কয়েক মিনিটেই ধূলিসাৎ করে দিতে পারবে এই মিসাইল।
ব্রহ্মোসের তুলনায় কতটা শক্তিশালী এটি?
জানা যাচ্ছে, ব্রহ্মোসের গতি ঘন্টায় 2800 থেকে 3000 কিলোমিটার। সেখানে ET-LDHCM-র গতি ঘণ্টায় 11,000 কিলোমিটার। অন্যদিকে ব্রহ্মোসের রেঞ্জ 450 কিলোমিটার, সেখানে ET-LDHCM-র রেঞ্জ 1500 কিলোমিটার। পাশাপাশি ব্রহ্মোসের ওয়ার হেড বহন ক্ষমতা 200 থেকে 300 কেজি। আর সেখানে ET-LDHCM 1000 থেকে 2000 কেজি পর্যন্ত ওজন বহন করতে পারে। জানা যাচ্ছে, এটি এতটাই দ্রুত মিসাইল, যা শত্রুর রাডার সিস্টেম নিমেষের মধ্যেই ট্র্যাক করে গুঁড়িয়ে দেবে।
উচ্চ তাপমাত্রাও রুখতে পারবে না ET-LDHCM-কে
আরও খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ET-LDHCM এবার উন্নত Scramjet ইঞ্জিনের সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে। ফলে এর মধ্যে কোনোরকম ঘূর্ণায়মান কম্প্রেসর থাকবে না। ফলে এর গতিবেগও চরমে পৌঁছেছে। এমনকি এটি 2000 ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও কাজ করতে সক্ষম বলে জানা গিয়েছে।
বলে দিই, এ মুহুর্ত শুধুমাত্র রাশিয়া, আমেরিকা এবং চীন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে। আর ভারতের হাতে যদি একবার এই প্রযুক্তি আসে, তাহলে ভারত হবে চতুর্থ দেশ, যারা নিজেদের প্রযুক্তিতেই হাইপারসনিক ক্রুজ মিসাইল তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে।
বলে রাখি, ET-LDHCM এতটাই আধুনিক, যে এটি নিচু উচ্চতায়ও উড়তে সক্ষম। এর ফলে খুব সহজেই রাডার সিগন্যাল এড়িয়ে শত্রুঘাঁটিতে ঢুকে নিমেষের মধ্যেই সব গুঁড়িয়ে দিয়ে আসতে পারবে। শুধু তাই নয়, এও মিসাইল মাঝপথে নিজের পথও ববদলাতে পারবে।
আরও পড়ুনঃ পরমাণু শক্তিতেও পাকিস্তানকে দশ গোল দিল ভারত! এক নম্বরে কোন দেশ? রইল তালিকা
বদলে যাচ্ছে ভারতের সামরিক খাতের সংজ্ঞা
এই নয়া মিসাইলের মাধ্যমে ভারত একদিকে যেমন পাকিস্তানের উপর আধিপত্য বজায় করতে পারবে, ঠিক তেমনি চিন তার প্রতিরক্ষা কৌশলের যোগ্য জবাব পেতে পারে। হ্যাঁ, Iron Dome বা S-500-র মতো ডিফেন্স সিস্টেমের কার্যকারিতা এই মিসাইলের মাধ্যমে অনেকটাই হ্রাস পাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন শুধু দেখার ভারত কবে এই প্রযুক্তির শুভ উদ্বোধন করে।