সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ‘KGF’ শব্দের মধ্যেই যেন সোনার গন্ধ লুকিয়ে রয়েছে! একসময় সিনেমার পর্দায় রূপকথার মত জীবন্ত হয়ে উঠেছিল এই KGF! আর এবার সেই সোনার দিন বাস্তবে ফিরতে চলেছে! কিন্তু কীভাবে? আসলে ভারতের ঐতিহাসিক কোলার গোল্ড ফিল্ডস (Kolar Gold Fields) বহু বছর পর প্রাণ ফিরে পেতে চলেছে। জানা যাচ্ছে, কর্ণাটকের বুক চিরে সোনার ঝলকানি আবারো দেখতে পাবে দেশবাসী।
দুই দশক পর আবারও জাগছে KGF
বলে রাখি, 2001 সালে কোলার সোনার খনি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আর এবার তা ফের চালু করতে চলেছে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার। 2024 সালে জুন মাসে কর্ণাটক সরকার কেন্দ্রের KGF-এ টেলিংস ডাম্প থেকে সোনা উত্তোলনের প্রস্তাব মেনেও নিয়েছিল। এমনকি মোট 1300 একর জমির উপর ছড়িয়ে থাকা 13টি ডাম্প বা বর্জ্যস্তূপে সোনার সম্ভাবনা রয়েছে বলেই খবর।
হিসাব বলছে যে, এই ডাম্পগুলির নীচে প্রায় 32 মিলিয়ন টন গুপ্তধন থাকতে পারে। যার মধ্যে থেকে প্রায় 23 টন খাঁটি সোনা উদ্ধার করা যাবে। আর যখন উৎপাদন শুরু হবে, তখন প্রতি বছর প্রায় 750 কেজি সোনা তোলা যাবে এই জায়গা থেকে। হ্যাঁ, এমনটাই জানাচ্ছে বেশ কিছু সংস্থা।
বলে রাখি, আগের মতো গভীর খননের বদলে এবার ব্যবহার করা হবে আধুনিক সব প্রযুক্তি। যেমন হিপ লিচিং, কার্বন ইন পাল্প ইত্যাদি। ফলে সোনা উত্তোলনের খরচ অনেকটাই কমবে এবং পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ হবে। এমনকি এতে অতিরিক্ত খননের দরকার পড়বে না, বরং পুরনো বর্জ্য থেকেই সোনা বের করে আনা হবে।
আরও পড়ুনঃ ৭ টাকায় চলবে ১৫০ কিমি! মাত্র ৬৫ হাজারে বাজার কাঁপাতে আসছে সেরা ইলেকট্রিক স্কুটার
হচ্ছে ভারতের স্বর্ণযুগের সূচনা
কোলার গোল্ড ফিল্ডস শুধু সোনার খনি নয়, বরং ভারতের ইতিহাসের এক জলজ্যান্ত প্রতীক! স্বাধীনতার পর দেশের এটিই প্রথম সোনার খনি ছিল এবং 1956 সালে জাতীয়করণ হওয়ার পর থেকে 2001 সাল পর্যন্ত এখান থেকে প্রায় 900 টন সোনা উৎপাদন করেছিল ভারত সরকার। এমনকি তখন KGF ছিল বিশ্বের অন্যতম গভীর এবং ব্যয়বহুল সোনার খনি।
বলে রাখি, ইতিমধ্যেই কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে। পরিবেশগত এবং প্রযুক্তিগতভাবে শুধু ছাড়পত্র পেলেই শুরু হবে খননের কাজ। আপাতত প্রাথমিক প্রস্তুতি এবং পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলছে। শুধু এখন কাজে হাত দেওয়ার পালা।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |