বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: এমনিতেই বেজে গিয়েছে ইউনূসের বিদায় ঘন্টা! আর সেই আবহের মাঝেই এবার বাংলাদেশে (Bangladesh) শুরু হল মুজিব যুদ্ধ! শেখ হাসিনার পতনের পরই বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের ছবি থেকে শুরু করে মূর্তি সহ সব স্মৃতি মুছে ফেলতে তৎপর হয়ে পড়েছিল ইউনূস সরকার। সেই ঢেউয়ে গা ভাসিয়ে ওপারের বহু নাগরিক বঙ্গবন্ধুর অবদান ভুলে একেবারে রাস্তায় নেমে পড়েছিলেন।
তবে শোনা যাচ্ছে, এবার সমস্ত পুরনো অতীত পেছনে রেখেই নতুন করে মুজিবর রহমানের নাম পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছেন বাংলাদেশের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক জোটের শিক্ষার্থীরা। আর সেই দাবির মাঝেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এবার ইউনূসের পতন নিশ্চিত হয়ে গেল?
বাংলাদেশে এখন দু’রকম ছবি
একদিকে ইউনূসের নেতৃত্বাধীন নতুন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ভেঙে ফেলা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর মূর্তি। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকেও সরিয়ে ফেলা হয়েছে মুজিবের ছবি। সর্বোপরি মুজিবের ছবি হটিয়ে ছাপানো হয়েছে নতুন বাংলাদেশি নোট। আর সেসবের মাঝেই এবার উল্টো ছবি ধরা পরল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের চিহ্ন মুছে ফেলতে তৎপর দেশের অধিকাংশ মানুষ, আর ঠিক সেই পর্যায়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা নেমেছেন অন্য দাবি নিয়ে। জানা যাচ্ছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নবনির্মিত হলটির নাম রাখা হয়েছিল ফজলুল কাদের চৌধুরীর নামে। বলে রাখি, এই ব্যক্তিকে চট্টগ্রামের সবচেয়ে কুখ্যাত গণহত্যাকারী রাজাকার হিসেবেই চেনেন ওদেশের মানুষ।
তবে সেসবের মাঝেও, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শেখ হাসিনা সহ তার পরিবারের সকলের নাম মুছে ফেলে বিভিন্ন স্থাপনার নাম পরিবর্তনের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। সেই মতোই বেশ কিছু আবাসিক হলের নাম মুছে ফেলেছিলেন পড়ুয়ার। তবে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নতুন নামকরণের দাবি তোলা হয়েছিল বারংবার।
আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই গত 17 মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান হল, শেখ হাসিনা হল, রাসেল হল সহ মোট চারটি হলের নাম বাতিল করে দেয় সিন্ডিকেট। তবে হঠাৎ করেই এবার নাম বাতিলের পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের নাম পুনর্বহালের দাবি তুলেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক জোটের শিক্ষার্থীরা। জমা পড়েছে স্মারকলিপিও।
অবশ্যই পড়ুন: অবশেষে ইউনূস অধ্যায়ের সমাপ্তি? বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন এই বিশেষ ব্যক্তি!
উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ফাইজা মেহজাবিনের সই করা ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধান মুক্তিযোদ্ধা, 1971 সালে দেশকে স্বাধীনতা এনে দেওয়া বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে অস্বীকার করে 71 ও 23 কে প্রতিদ্বন্ধীর অবস্থানে দাঁড় করানোর অপচেষ্টা প্রকৃতপক্ষে স্বৈরাচারী রেজিমেরই মনোবৃত্তি। এই অপচেস্টার বিরুদ্ধে রুখে না দাঁড়িয়ে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধার অপমান আমরা হতে দিতে পারি না।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |