বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: বাঙালি আবার কিছু পারে নাকি? ঠাট্টার ছলে না হলেও এমন কথা প্রায়শই কানে আসে। তবে সেই প্রচলিত প্রবাদকে নস্যাৎ করে দেখালেন বাংলার ঘরের ছেলে ঈশান চট্টোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, কম্পিউটার সায়েন্সে গোডেল (Godel Prize) পেয়েছেন বঙ্গ তরুণ ঈশান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, বিগত 30 বছরে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যে অসাধ্য সাধন করে দেখাতে পারেননি দেশের বহু বিজ্ঞানী, এবার তা-ই হাসিমুখে করে দেখালেন কম্পিউটার সায়েন্সে গোডেল প্রাইজ জয়ী চ্যাটার্জি বাবু। জানা যায়, কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক ছিলেন ঈশান। এবার সেই শিক্ষকের হাতেই উঠল গোডেল প্রাইজ।
কোন গবেষণার জন্য গোডেল প্রাইজ পেলেন ঈশান?
বেশ কয়েকটি সংবাদ প্রতিবেদন মারফত খবর, মূলত র্যান্ডমনেস এক্সট্রাকশন নামক একটি বিষয়ে গবেষণা থেকেই গোডেল প্রাইজ পেয়েছেন ঈশান চট্টোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, একেবারে দুর্বল উৎস থেকে কীভাবে ও কোন পদ্ধতিতে উপযুক্ত র্যান্ডমনেস তৈরি করা যায় সেই পন্থা আবিষ্কার করেই তাক লাগানোর পাশাপাশি বিরাট কৃতিত্ব অর্জন করেছেন বাংলার ঘরের ছেলে ঈশান।
বেশ কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ঈশানের গবেষণা থেকে জানা যায়, দুর্বল সোর্স থেকেই শুধুমাত্র চেষ্টা ও একাগ্রতা দিয়ে উপযুক্ত র্যান্ডমনেস তৈরি করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, র্যান্ডমনেস যেহেতু ক্রিপটোগ্রাফি থেকে শুরু করে ডেটা কম্প্রেশন ও সুরক্ষিত যোগাযোগের মতো ক্ষেত্রগুলিতে প্রয়োজন হয়, তাই বাঙালির ছেলে ঈশানের এই আবিষ্কার আগামী দিনে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিরাট বদর আনবে।
অবশ্যই পড়ুন: ফেরাতে হবে মুজিবকে! বাংলাদেশে ফের পথে শিক্ষার্থীরা, পুরনো ভয়ে কাঁপছেন ইউনূস!
ঈশানকে নিয়ে কিছু কথা
বর্তমানে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন ঈশান চট্টোপাধ্যায়। তবে জীবনের শুরুটা কিন্তু হয়েছিল ভারতের মাটি থেকেই। জানা যায়, কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক ঈশান কানপুর আইআইটি থেকেই স্নাতক পাশ করেছিলেন। পরবর্তীতে ডক্টরের জন্য বিদেশ পাড়ি দেন তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, কম্পিউটার সায়েন্সের বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণার জন্য আগে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট করেন ঈশান।
আর তারপরেই 2018 সালে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হাত ধরা। সেই থেকেই অনেকটা পথ হেঁটে এসে গত বছর ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরের পদ পেয়েছেন ঈশান। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দীর্ঘ সময় গবেষণার পর 2019 সালে এক্সপ্লিসিট টু সোর্স এক্সট্রাক্টরস অ্যান্ড রেজিলিয়েন্ট ফাংশনস নামক একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন ঈশান। সেই থেকেই কম্পিউটার সায়েন্সের দুনিয়ায় নতুন দিগন্ত খুলে দেওয়ায় স্বীকৃতি বাবদ একেবারে গোডেল প্রাইজ পেয়ে গিয়েছে দীর্ঘদিন অবহেলায় থাকা বাঙালি জাতির জাতের ছেলে ঈশান চট্টোপাধ্যায়।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |