কোক, Pepsi-র দিন শেষ! বড় ঝটকা দিতে চলেছে Campa! ৮০০০ কোটি ঢালছেন আম্বানি

Published on:

Campa Cola 2.0

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: পুরোনো ছন্দে নতুন রুপে ফিরতে চলেছে Campa (Campa Cola 2.0)! ভারতীয় সফট ড্রিংক হিসেবে আবারও একচেটিয়া বাজার দখল করতে চলেছে এই জনপ্রিয় কোল্ড ড্রিঙ্কস। আর এবার সেই নস্টালজিক ব্র্যান্ডকে আকর্ষণীয় করে তুলতে ৮ হাজার কোটি টাকার বিশাল বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে মুকেশ আম্বানি সংস্থা।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

নস্টালজিক ব্র্যান্ড Campa

পুরোনো নথি ঘাটলে জানা যায় ১৯৭৭ সালে ভারতে যখন Cocacola বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তখন সফট ড্রিংক হিসেবে একচেটিয়া বাজার চালিয়েছিল Campa Cola। এতটাই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল এই কোল্ড ড্রিঙ্কস যে সকলের কাছে Campa মানেই ছিল প্রিয় সফট ড্রিংক। কিন্তু ১৯৯১ সালে মনোমোহন সিংয়ের হাত ধরে ভারতীয় অর্থনীতির লিবেরালাইজেশনের পর ফের ভারতের বাজার দখল করে নেয় Cocacola ও Pepsi।

বড় ধামাকার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে Campa

তখন এই দুই কোল্ড ড্রিঙ্কসের দাপটে ভারতের বাজার থেকে ক্রমেই জনপ্রিয়তা কমতে থাকে Campa। এরপর দুই বছর আগে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে মুকেশ আম্বানির হাত ধরে ফের আত্মপ্রকাশ করে Campa Cola। আর বাজারে আসতেই ফের Coke বা Pepsi-র প্রায় অর্ধেক দামে বাজারে এসে হইচই ফেলে দেয় Campa।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

যার দরুন গ্রামাঞ্চল থেকে শহর সব জায়গাতেই জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করে Campa। আর এই আবহেই রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এক বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করল। জানা গিয়েছে আরও বড় ধামাকার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে Campa।

৮ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ!

মুকেশ সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের তরফে জানানো হয়েছে আগামী ১২ থেকে ১৫ মাসের মধ্যে ক্যাম্পা কোলার সম্প্রসারণের জন্য ৮ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে। তবে শুধু Campa-ই নয় রাস্কিক ও স্পিনারের মতো যেহেতু ঠান্ডা পানীয় ব্র্যান্ড রয়েছে রিলায়েন্সের, তাই সেক্ষেত্রেও সেই সমস্ত ব্র্যান্ড নিয়ে এগোনো হবে। একটি জনপ্রিয় সংবাদসংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, রিলায়েন্স কনজিউমার প্রোডাক্টস লিমিটেড ইতিমধ্যেই ১০ থেকে ১২টি কারখানা নিয়ে কাজ করছে।

আরও পড়ুন: “যারা ইংরেজিতে কথা বলেন তারা এবার লজ্জা পাবেন”, হঠাৎ কেন এমন মন্তব্য অমিত শাহের!

যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, মুকেশ আম্বানি সংস্থা রিলায়েন্স কেবলমাত্র ক্যাম্পা কোলার উৎপাদনে থেমে থাকবে না। তারা বাজারে আরও নতুন ধরনের ফ্লেভার, এনার্জি ড্রিংক এবং স্বাস্থ্যসম্মত বিকল্প বাজারে নিয়ে আনার পরিকল্পনা করতে চলেছে।

এমনকি ভরতে উৎপাদিত ফলমূল সংগ্রহ করে জুস-ভিত্তিক ড্রিংকও তৈরি করতে চলেছে এই সংস্থা। ইতিমধ্যেই ফেব্রুয়ারিতে গুয়াহাটির স্থানীয় সংস্থা জেরিকোর সহযোগিতায় একটি নতুন প্ল্যান্ট তৈরি করেছে রিলায়েন্স। বিহারেও তারা নয়া একটি প্রজেক্ট তৈরি করছে।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
Join Group