সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ওপার বাংলার (Bangladesh) রাজনৈতিক আগুনে ক্রমশ ঘি পড়ছে! আর তারই মধ্যে কড়া বার্তা দিল দেশের সেনাবাহিনী। হ্যাঁ, বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের প্রশাসনের আওতায় বিগত 10 মাস ধরে আইন শৃঙ্খলার চেহারা যে কতটা তলানিতে ঠেকেছে, তা উঠে এল সেনাবাহিনীর মুখেই।
এদিন ঢাকার সেনানিবাসে আয়োজিত এক গুরুত্বপূর্ণ ব্রিফিংয়ে সেনাদের তরফ থেকে জানানো হয়, ভবিষ্যতে সহিংসতার রূপে সেনাবাহিনী যা করার করবে। আর এই বার্তাতেই স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলছে যে, দেশের বর্তমান প্রশাসনের উপর নিরাপত্তা রক্ষাবাহিনী ভরসা রাখতেই ভয় পাচ্ছে।
ঠিক কী বললেন সেনাবাহিনী?
19 জুন দুপুরবেলা ঢাকার সেনানিবাসের অফিসার্স মেসের এক সাংবাদিক বৈঠকে মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের কর্নেল মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেছেন, মব ভায়োলেন্স এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী যেকোনো কর্মকাণ্ডে ঢুকতে সেনাবাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। আগামীতেও সেই একই কাজ করবে।
তার দাবি, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের ফলে ইতিমধ্যে দেশের পরিস্থিতি অনেকটাই আগের জায়গায় ফিরেছে। হ্যাঁ, তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, সেনাদের জন্যই আগের তুলনায় মব ভায়োলেন্স অনেকাংশেই কমেছে। আর পুরোপুরি কমানোর দায়িত্বও সেনাবাহিনীর।
আরও পড়ুনঃ ইউনূস জামানায় বাংলাদেশে বেশি কালোবাজারি! সুইস ব্যাঙ্কে জমা অর্থের হার চমকে দেবে
স্পষ্ট হচ্ছে প্রশাসনের ব্যর্থতা
ইউনূস সরকারের আমলে মৌলবাদীদের দাপট এবং সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের জেরে পদ্মাপাড়ের দেশের ছবি পুরো বদলে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ যখন প্রশাসনের উপর থেকে ভরসা হারাচ্ছে, ঠিক তখনই দেশকে শান্ত রাখতে নামতে হচ্ছে সেনাবাহিনীকে।
এমনকি এ দিনের ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে কর্নেল শফিকুল ইসলাম জানিয়ে দেন, সরকার এখনো সেনাবাহিনীকে নির্বাচন নিয়ে কোনোরকম নির্দিষ্ট নির্দেশ দেয়নি। নির্দেশ আসলেই আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করব।