বিরাট প্ল্যান! পাকাপাকিভাবে এক হল চিন-পাকিস্তান-বাংলাদেশ, ভারতের জন্য অশনি সংকেত

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ত্রিপক্ষীয় প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে চলেছে চিন-পাকিস্তান-বাংলাদেশ (China-Pakistan-Bangladesh)। সূত্রের খবর, তিন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দেশবাসীর জীবনযাপনের মান উন্নত করতে এবার একে অপরের হাত শক্ত করল ত্রিশক্তি।

বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে দাবি করেছে, তিন দেশের জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে এবং পারস্পরিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির সুবিধার্থে একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম গঠনের আশ্বাস দিয়েছে বেইজিং। শুধু তাই নয়, এ বিষয়ে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপও গঠন করবে এই তিন দেশ।

হয়ে গিয়েছে বৈঠক

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার চিনের ইউনান প্রদেশের কুনমিংয়ে চিন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে বসেছিল। জানিয়ে রাখি, মূলত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের ওই বৈঠকে একটি ত্রিপক্ষীয় প্ল্যাটফর্ম তৈরির বিষয়ে আলোচনা হয় তিন দেশের।

এ প্রসঙ্গে চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চিনের উপ-প্রধানমন্ত্রী সান ওয়েইডং, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব আমনা বালুচ ও বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকি। এদিন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব ভার্চুয়ালি ওই বৈঠকে যুক্ত হয়েছিলেন। শুক্রবার এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বড় প্ল্যান তিন দেশের

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবারের পররাষ্ট্র পর্যায়ের ওই বৈঠকে চিন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, তিন দেশ একে অপরকে নানান ক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে। এদিনের বৈঠকে মূলত জোর দেওয়া হয়, তিনপক্ষ সুপ্রতিবেশীসুলতা, সমতা, পারস্পারিক বিশ্বাসযোগ্যতা, উন্মুক্ততা, অন্তর্ভুক্তি সাধারণ উন্নয়ন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে মতবিনিময়ের প্রসঙ্গে সহযোগিতার ওপর। বলে রাখি, এই ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার লক্ষ্য একটাই, মূলত তিন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।

অবশ্যই পড়ুন: আসছে তিন বাঘা প্লেয়ার! মেহতাব, অভিষেক হাতছাড়া হতেই পাশা পাল্টে দিল ইস্টবেঙ্গল

উল্লেখ্য, চিন, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের ওই ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পর তিন দেশ যে ত্রিপক্ষীয় প্লাটফর্ম গড়তে চলেছে তার মাধ্যমে একে অপরের শিল্প, বাণিজ্য, জলসম্পদ, জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি, মানবসম্পদ, শিক্ষা, স্বাস্থ, সংস্কৃতি, যুব সমাজ ও থিঙ্ক ট্যাঙ্ক সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্ক বাড়ানো ও সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেবে। যদিও এতে ভারতের কতটা ক্ষতি হবে সেটা বলা যাচ্ছে না। কিন্তু তিন প্রতিবেশী যাদের মধ্যে রয়েছে শত্রুও! তাঁদের এক হওয়া যে ভারতের পক্ষে খুব একটা সুবিধাজনক নয়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।