বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ইরান-ইজরায়েল যুদ্ধে এবার ঢুকে পড়ল তৃতীয় পক্ষ। হ্যাঁ, বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ আমেরিকা (America) এবার অংশ নিল রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই ইজরায়েলে ইরানি হামলার প্রতিবাদে ইরানের 3 পরমাণু কেন্দ্রে সরাসরি হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। যে খবর সদ্য নিশ্চিত করেছেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইরানে সরাসরি হামলা আমেরিকার
ইরানের ওপর ভয়াবহ হামলার কথা ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতীয় সময়, শনিবার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে ট্রাম্প স্পষ্ট করে দেন, আমেরিকা ইরানের 3টি পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে সফলভাবে হামলা চালিয়েছে। রিপাবলিকান নেতার দাবি অনুযায়ী, বর্তমানে আমেরিকার সমস্ত বিমান ইরানের আকাশ সীমা ছাড়িয়ে বেরিয়ে এসেছে।
তবে আমেরিকা আক্রমণে গুঁড়িয়ে গিয়েছে ইরানের 3 পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র। ট্রাম্প এও বলেন, আমেরিকার আঘাতে ইরানের ওই পারমাণবিক কেন্দ্রগুলি পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। আমরা ছাড়া আর কোনও দেশ বা দেশের সেনাবাহিনী এমন নিখুঁত হামলা চালাতে পারত না। সবশেষে ইরানকে বড় ধাক্কা দিয়ে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট লেখেন, এবার শান্তির সময় এসেছে।
তবে শান্তির বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি, আমেরিকান সেনাদের সাফল্যে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়ে ট্রাম্প হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, ইতিমধ্যেই আমেরিকা ইরানের আরও বেশ কয়েকটি অঞ্চলকে নিশানায় নিয়ে রেখেছে। ইরান যদি শান্তির পথে না ফেরে তবে খুব শীঘ্রই ওদেশে প্রাণঘাতী হামলা চালাবে আমেরিকা। চলবে ধ্বংসযজ্ঞ।
বলা বাহুল্য, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী, আমেরিকার বীর সেনাবাহিনী ইরানের ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহানের তিন গুরুত্বপূর্ণ পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে সফলভাবে হামলা চালিয়েছে। যার জেরে ইরানের ওই গবেষণা কেন্দ্রগুলির গোটাটাই ধূলিসাৎ হয়েছে বলেই খবর।
অবশ্যই পড়ুন: ৬০ বছর বয়স হলে প্রতি মাসে মিলবে ৩০০০ টাকা পেনশন! কারা, কীভাবে পাবে দেখুন
ট্রাম্পের দাবি নস্যাৎ করল ইরান!
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেখানে গলা ফাটিয়ে বলছেন, ইরানের তিন পরমাণু কেন্দ্র নিশ্চিহ্ন করেছে আমেরিকান সেনাবাহিনী। সেই পর্বে দাঁড়িয়ে ট্রাম্পের দাবি একেবারে উড়িয়ে দিল ইরান। বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরান জানিয়েছে এই ক্ষতির মাত্রা অপূরণীয় নয়।
এ প্রসঙ্গে ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার সিনিয়র উপদেষ্টা মেহদি মোহাম্মদি জানান, ফর্দো পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে হামলার আশঙ্কা অনেক আগেই করে নিয়েছিল ইরান। সেই মতোই খালি করে ফেলা হয়েছিল কেন্দ্রটিকে। তাঁর দাবি, বহু আগেই ওই কেন্দ্রটিকে এভাকুয়েট করে নেওয়া হয়েছিল। আমেরিকা চাইলেই পরমাণু গবেষণায় ইরানের অগ্রগতি বোমা মেরে আটকাতে পারবেনা!
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |